কী অভিযোগ করা হয়েছিল
চলতি বছর জুলাই মাসে কেরলের কোত্তারাকারা পুলিশের কাছে এক ব্যক্তি অভিযোগ দায়ের করেন। সেখানে ওই ব্যক্তি জানান, ন্যাশনাল এলিজিবিটি এন্ট্রান্স টেস্টের জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার আগে তাঁর মেয়ে সহ বেশ কয়েকজন ছাত্রীকে অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হয়। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি এই পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে ছিল। তাদের তরফে প্রথমে বলা হয়, ইমেল মারফৎ পরীক্ষায় বসার জন্য পোশাকবিধির কথা স্পষ্ট করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও ওই ছাত্রী পোশাক বিধি মেনে চলেনি। মেটাল ডিরেক্টরে ধাতব অস্তিত্ব পাওয়া যায়। যদিও জানা যায় অন্তর্বাসের ধাতব হুক মেটাল ডিরেক্টরে চিহ্নিত হয়। পরীক্ষা পরিচালনকারী সংস্থা নিরাপত্তার উদ্বেগের আশঙ্কা করে। ছাত্রীটিকে অন্তর্বাস খুলতে বাধ্য করা হয়।
ঘটনায় গ্রেফতার হয় সাত জন
ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারা অনুসারে মহিলাদের শালীনতা ক্ষুন্ন করার উদ্দেশে আক্রমণ বা বলপ্রয়োগ, ৫০৯ ধারা অনুসারে মহিলার শালীনতাকে আঘাত করে শব্দপ্রয়োগ বা অঙ্গভঙ্গি -এর অভিযোগ নিয়ে আসা হয়। এই ঘটনায় কেরল পুলিশ প্রাথমিকভাবে সাতজনকে গ্রেফতার করে। তার মধ্যে নিট পরীক্ষাকেন্দ্রে কলেজের দুই কর্মী ও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এজেন্সির তিন কর্মী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। পরে প্রত্যেকেই জামিন পেয়ে যান। তবে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই দেশজুড়ে প্রবল বিতর্কের সৃষ্টি হয়। সমালোচনার মুখে পড়ে নিট পরীক্ষা পরিচালনকারী সংস্থা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি।
মানবাধিকার কমিশন ও মহিলা কমিশনের দাবি
ঘটনার জেরে মানবাধিকার কমিশন কোল্লাম গ্রামীণ এসপিকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ ও ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। ন্যাশনাল কমিশন ফর উইমেন এবং ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানায়। এনটিএ তাদের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ তদন্ত করতে এবং চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য তিন সদস্যের একটি একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছিল।