ব্যাট ছোঁননি বিরাট
ইংল্যান্ড সফরের পর ছুটি নিয়েছিলেন বিরাট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবোয়ে সফরে যাননি। ইংল্যান্ডে মানসিক চাপ থেকে মুক্তির স্বাদ পেতে তাঁকে কীর্তনের আসরে গিয়ে আধ্যাত্মিকতার আশ্রয়ও নিতে হয়েছিল। বিরাট কোহলি বলেছেন, ১০ বছরে এই প্রথমবার আমি মাসখানেক ব্যাটই ছুঁয়ে দেখিনি। নিজের ইচ্ছাশক্তির বিরুদ্ধে যেতে হয়েছিল ভালো লক্ষ্যেই। নিজেকে বুঝিয়েছি ইচ্ছাশক্তি থাকলেও শরীর বিশ্রাম নিতে চাইছে। মন বলছিল বিরতি নিতে। বিরাট একইসঙ্গে এ কথাও জানিয়েছেন মানসিকভাবে তিনি শক্তিশালী। কিন্তু সকলেরই সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সেই সীমাবদ্ধতাকে চিহ্নিত করা জরুরি। নাহলে সেটি অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায়।
মানসিকভাবে বিপর্যস্ত
বিরাট কোহলি খারাপ সময় থেকে প্রাপ্ত শিক্ষাকে ইতিবাচক হিসেবে কাজে লাগাতে চান। বাস্তব পরিস্থিতিকে মেনে নিয়েই ঠিক করতে চান আগামীর লক্ষ্য। বিরাট বলেন, আমি যে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম সে কথা মেনে নিতে আমার কোনও লজ্জা নেই। এটা খুব স্বাভাবিক একটা অনুভূতি। কিন্তু এই সহজ স্বাভাবিক বিষয়টিকে স্বীকার করতেও অনেকে সংশয় বোধ করেন। আমরা কেউই মানসিকভাবে দুর্বল, এটা কাউকে বুঝতে দিতে চাই না। তবে আমি বিশ্বাস করি, মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নিজেকে শক্তিশালী দেখানো দুর্বল হিসেবে স্বীকারোক্তির চেয়েও খারাপ।
|
দলকে জেতানোই লক্ষ্য
প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক জানিয়েছেন, প্রতিদিনই সকালে উঠে সবরকম পরিস্থিতি সামলানোর চ্যালেঞ্জ তিনি গ্রহণ করেন। যা অপেক্ষা করে রয়েছে তার মুখোমুখি হয়ে নিজের সর্বশক্তি দিয়ে যা করণীয় তা খুশির সঙ্গেই করে থাকেন কিং কোহলি। তিনি বলেন, অনেকেই মাঠে আমাকে যা করতে দেখেন তা নিয়ে নানা প্রশ্ন করেন। ইন্টেন্সিটির ব্যাপারেও জানতে চান। আমি তাঁদের একটা কথাই বলি, আমি খেলতে ভালোবাসি। আমার এটা ভেবে ভালো লাগে যে আমার প্রতিটি বলেই অবদান রাখার মতো বিষয় রয়েছে। মাঠে আমি আমার এনার্জির প্রতিটি ইঞ্চি মেলে ধরি। এটা আমার কাছে কোনও অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়। বিরাটের কথায়, আমার একটাই লক্ষ্য থাকে আর সেটা হলো যে কোনও মূল্যে দলকে জেতানো।
|
বিরাটের পাশে রাহুল-সহ গোটা দল
এরই মধ্যে বিরাট কোহলির হয়ে ব্যাট ধরেছেন ভারতের সহ অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। তিনি সাফ বলেছেন, বাইরে কে কী বলছেন তাকে আমরা গুরুত্ব দিই না। প্রত্যেকের মতামত থাকতেই পারে, কিন্তু তা ক্রিকেটারদের প্রভাবিত করে না। বিশেষ করে বিরাট কোহলির মতো বিশ্বমানের ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে। বিরাট কিছুদিনের ব্রেক নিয়ে মাঠে ফিরছেন। নিজের খেলায় মনোনিবেশ করছেন। নিজের জন্য গুণগত মাত্রা তিনিই ঠিক করেছেন, আমি নিশ্চিত বিরাট দেশের জয় ছিনিয়ে নিতে একইরকম ক্ষুধার্ত। দেশের জয় নিশ্চিত করাকেই তিনি সব সময় প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। আশা করি, শীঘ্রই ভালো কিছুই হবে। বিরাট কোহলিকে বিরাট কোহলির মতো ফর্মে দেখতে আমরা সকলেই মুখিয়ে আছি। ভারতীয় দলে কেউই তাঁকে নিয়ে উদ্বিগ্ন নন। শুধু এশিয়া কাপ, সব বিভাগে নিজেদের সেরাটা দিলে ভারতের টি ২০ বিশ্বকাপ জয়ের ভালো সম্ভাবনা আছে বলেও মন্তব্য রাহুলের।