করোনা মহামারীর জেরে মুলতুবি মামলার সংখ্যা বেড়েছে
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা বলেন, মুলতুবি মামলার সংখ্যার হার ক্রমেই বাড়ছে। এই হার কমানোর জন্য আধুনিক প্রযুক্তির সরঞ্জাম ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা স্থাপনের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বলেন, 'এই বিষয়ে আমরা কিছু মডিউল তৈরি করেছি। নিরাপত্তার কারণে এই বিষয়ে বেশি অগ্রগতি হয়নি। করোনা মহামারীর সময় বিচার ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করোনা মহামারীর জেরে মামলা মুলতুবির সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে। পরবর্তীকালে ধীরে ধীরে বিচার ব্যবস্থা স্বাভাবিক হয়ে উঠলেও মুলতুবি মামলার সংখ্যা কমানো সম্ভব হয়নি।'
জমা মামলার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে
দেশের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা বলেন, 'আমাদের স্বীকার করতে হবে, জমা মামলার সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। তা আমাদের কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিষয়গুলোকে তালিকাভুক্ত করার বিষয়ে আমি বিশেষ নজর দিতে পারfনি। একথা অস্বীকারের কোনও জায়গা নেই। এর জন্য আমি দুঃখিত।' প্রবীণ আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি দুষ্যন্ত দাভে বলেছেন, মুলতুবি মামলার তালিকা প্রস্তুত করার জন্য একটি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের প্রয়োজন। না হলে, মুলতুবি মাললার সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনা কার্যত অসম্ভব হয়ে যাবে। অন্যদিকে রমনা বলেন, বিচার বিভাগটি দেশের সমস্ত বিভাগের থেকে আলাদা। এখানে সাধারণ মানুষের চাহিদাও আলাদা। এখানে মানুষ নিজের অধিকারের লড়াইয়ের জন্য আসে। বিচার বিভাগের প্রতিটি সদস্যের কাজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, এখানে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে না পারলে সাধারণ মানুষ থেকে সমাজ কোথাও সম্মান পাওয়া যাবে না।
প্রবীণ আইনজীবীদের পরামর্শ
এনভি রমনা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ ছাড়ার আগে আদালতের প্রবীণ আইনজীবীদের সঠিক পথে চলার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, যখন কোনও তরুণ আইনজীবী এই পেশায় প্রবেশ করেন, 'তাঁদের সিনিয়রদের রোল মডেল মনে করেন। আমি সমস্ত প্রবীণ আইনজীবীদের পরামর্শ দিচ্ছি, তাঁদের অনুজদের যেন সঠিক পথ দেখান।' তিনি বলেন, 'আসুন, আমরা সবাই আলোচনা ও বৈঠকের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে দ্রুত ন্যায়বিচার পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করি।'