|
নতুন শুরু
আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রোহিত বলেন, ভারতীয় শিবিরের মুড এখন দারুণ রয়েছে। নতুন টুর্নামেন্ট, নতুনভাবে শুরু করতে হবে। আগে কী হয়েছে তা মাথায় রাখছি না। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলা সব সময়ই চ্যালেঞ্জিং। একটা একটা ম্যাচ ধরেই এগিয়ে যাব। আমরা প্রথম ম্যাচের একাদশ এখনও চূড়ান্ত করিনি। আজ রাতের শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান ম্যাচ দেখে প্রথম একাদশ চূড়ান্ত করব। কেন না, আজ যে পিচে খেলা হচ্ছে সেখানে আমাদের ম্যাচটিও হবে।
|
কম্বিনেশন চূড়ান্ত নয়
জসপ্রীত বুমরাহ, হর্ষল প্যাটেলকে চোটের কারণে পাওয়া যায়নি এশিয়া কাপে। তবে যাঁরা আছেন তাঁদের নিয়েই ভালো কিছু করতে মুখিয়ে রোহিত। তাঁর কথায়, দলের তরুণ বোলাররা প্রত্যেকেই প্রথম একাদশে সুযোগ পাওয়ার যোগ্য। আমরা প্রত্যেককে তাঁদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেব এবং তা তাঁরা কীভাবে সামলাচ্ছেন সেটা দেখে নিতে চাই। সেরা প্রথম একাদশই নামবে। দীনেশ কার্তিকও জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের পর ভালো খেলছেন। ফলে আমরা বেশ কিছু বিষয় এশিয়া কাপে দেখে নিতে চাই। তা করতে গিয়ে সাফল্য নাও আসতে পারে। দলের কম্বিনেশন সকলে কালকেই জানতে পারবেন। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি ফল যাই হোক না কেন, কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে।
|
আগের ফল ভুলে
গত টি ২০ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে হারার পর ফের বাবর আজমের দলের বিরুদ্ধে খেলতে নামছে ভারত। এবার অধিনায়ক রোহিত শর্মা। অনুশীলনের ফাঁকে দুই অধিনায়ককে কিছুক্ষণ একান্তে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। যেখানে রোহিত জানিয়েছেন, কয়েক দিন পর তাঁর পরিবারের সদস্যরা টিম হোটেলে আসবেন। তবে বাবরের পরিবার এখনই দুবাই পৌঁছাচ্ছে না। রোহিত বলেন, আমরা নিজেদের মধ্যে আগেরবার পাকিস্তানের কাছে পরাজয় নিয়েও আলোচনা করেছি। ভুলগুলি সংশোধন করতে হবে। নতুনভাবে শুরু করছি আমরা। আগে হেরেছিলাম অক্টোবরে, সেটা অনেক দিন হয়ে গিয়েছে।
মানসিক স্বাস্থ্যে জোর
বিরাট কোহলি এশিয়া কাপ অভিযানে নামার আগে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়ার অধ্যায়ে আলোকপাত করেছেন। আগের টি ২০ বিশ্বকাপে ভারতের ব্যর্থতার অন্যতম কারণ হিসেবেও উঠে এসেছিল মানসিক ক্লান্তির বিষয়টি। রোহিত বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে শুধু বিরাটই নয়, অনেকেই এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। তাঁদের মানসিকভাবে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকতে হয়েছে, হোটেলের বাইরে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। ফলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। কেন না ওই পরিস্থিতির আগে অবধি জীবনযাত্রা অন্যরকম ছিল। একইসঙ্গে রোহিত জানান, ভারতীয় দলে সতীর্থরা একে অপরের পাশে থাকেন। নিজেদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও আলোচনা হয়। কীভাবে মানসিকভাবে চাঙ্গা ও তরতাজা থাকা যায় তা নিয়েই কথাবার্তা চলে। তরতাজা থাকাটা সর্বাগ্রে জরুরি। মানসিকভাবে ফ্রেশ থাকতেই হবে। মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।