বড় পদক্ষেপ তৃণমূলের।
তবে এই মুহূর্তে জেল হেফাজতে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। আর তা থাকাকালীনই বড় পদক্ষেপ তৃণমূলের। ক্ষমতা খর্ব হল বেতাজ বাদশার। পূর্ব বর্ধমানের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট আর কেতুগ্রামের দায়িত্ব থেকে কার্যত সরানো হল অনুব্রতকে। বীরভূমের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র দেখতে অনুব্রত নিজেই। খাস তালুকে বসেই এই তিন বিধানসভাতে নজরদারি চালাতেন কেষ্ট। কিন্তু তিন বিধানসভা ক্ষেত্র দেখার দায়িত্ব আপাতত রবীন্দ্রনাথকে দেওয়া হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
কলকাতায় উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক
বৃহস্পতিবার কলকাতায় উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠক হয়। সেখানেই অনুব্রত মণ্ডলকে এই তিন জায়গা থেকে সরানো সিদ্ধান্ত শীর্ষ নেতৃত্ব নিয়েছে বলেই খবর। যদিও এই বিষয়ে দলের তরফে স্পষ্ট ভাবে কিছু জানানো হয়নি। একেবারে আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই অনুব্রতকে ওই তিন জায়গা থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দল। শুধু তাই নয়, এই তিন বিধানসভা এলাকার নেতৃত্বকে রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে দলীয় কাজ করার বার্তাও দেওয়া হয়েছে বলে খবর। কিন্তু কেন এমন গোপনীয়তা? তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।
বীরভূমে এখনও হাত দেওয়া হয়নি।
বর্ধমানের তিন বিধানসভা কেন্দ্র থেকে অনুব্রত মণ্ডলকে সরানো হলেও বীরভূমে এখনও হাত দেওয়া হয়নি। কিন্তু কেন? তা নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। যদিও অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারের পর থেকেই দলের রাশ এই এলাকায় কার হাতে থাকবে তা নিয়ে একটা জল্পনা তৈরি হয়েছে। একাধিক নাম সামনে আসছে। যদিও বীরভূমে যে শেষ কথা এখনও অনুব্রতই তা কার্যত পষ্ট করে দিল তৃণমূল নেতৃত্ব।
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন।
তবে সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর এই পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে ফের একবার বাংলায় ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে বিজেপি। এই অবস্থায় কোনও জায়গা ছাড়তে নারাজ তৃণমূল। তবে অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি সংগঠনে প্রভাব ফেলতে পারে। আর তা বুঝেই এহেন সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন উঠছে।