ডুরান্ড কাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয়ের দেখা পেল না ইমামি ইস্টবেঙ্গল। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে ভারতীয় নৌ-বাহিনীর বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র করার পর, কিশোরভারতী ক্রীড়াঙ্গণে রাজস্থান ইউনাইটেডের বিরুদ্ধেও মরসুমের প্রথম গোলের দেখা পেল না লাল-হলুদ। গোল করতে পারেনি রাজস্থানও, তাই এই ম্যাচটিও শেষ হয় ০-০ ব্যবধানে।
ম্যাচটি ড্র হলেও শুরু থেকে আক্রমণের ঝাঁঝ ছিল ইস্টবেঙ্গলের। একাধিক সুযোগ পেয়েছিল লাল-হলুদ তবুও কাঙ্খিত গোলটি পায়নি। এ দিন শুরু থেকেই ব্রাজিলীয় অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার লিমাকে খেলান স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন কিন্তু লিমার পাস বোঝার মতো বা তাঁকে যোগ্য সঙ্গদ দেওয়ার মতো ফুটবলার ছিল না। আক্রমণ ভাগে অনিকেত যাদব বা অমরজিৎ সিং কিয়ামকে অনেকটা পরিশ্রম করতে দেখা গেলেও আক্রমণভাগে গোল করার লোকের অভাব বারবার টের পায় স্টিফেন কনস্ট্যানটাইনের ছেলেরা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেও ইস্টবেঙ্গল চেষ্টা চালায় কিন্তু ম্যাচ যত শেষের দিকে যেতে থাকে ততই বিধ্বস্ত দেখায় ইস্টবেঙ্গলের ফুটবলারদের। মূলত ফিজিক্যাল ফিটনেস কাঙ্খিত পর্যায়ে না থাকার কারণে ৭০ মিনিটের পর থেকে দলটা থমকে যায়। দলের মধ্যে তাগিদ এবং গতি বজায় রাখতে একাধিক পরিবর্তন করলেও স্টিফেনের একটিও চেঞ্জ কাজে আসেনি। এ দিন জয় তুলে নেওয়ার মরিয়া চেষ্টায় এলিয়ান্দ্রোকে মাঠে নামান ব্রিটিশ কোচ। ব্রাজিলীয় ফরওয়ার্ডের খেলার সেন্স এবং ঠিক জায়গায় ঠিক সময়ে বল রাখার দক্ষতা থাকলেও এখনও পুরোটা ফিট হয়ে ওঠেননি তিনি। কিছুটা সময় তাঁর লাগবে। তবে প্রথম ঝলকে যতটা তাঁর খেলা দেখা গিয়েছে তা থেকে বোঝা যায় ভাল মানের বক্স স্ট্রাইকার।
অপর দিকে, রাজস্থান ইউনাইটেডের তরুণ দল যদি একটু বুঝেশুনে খেলতে পারত তা হলে এই ম্যাচ থেকে খালি হাতে ফিরতে হতো না তাঁদের। পেনাল্টি থেকে গোল করার সুযোগ পেয়েও রাজস্থানের এক ফুটবলার ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষকের হাতে মারেন। শেষের দিকে এটিকে মোহনবাগান ম্যাচের নায়ক গোল করার মতো শট নিলেও অল্পের জন্য তা লক্ষ্য ভ্রষ্ঠ হয়।
এই দুই ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের সব থেকে জঘন্য যাঁর খেলা লেগেছে তিনি সুমিত পাসি। ২৭ বছরের 'অযোগ্য' এই ফুটবলারকে ঠিক কোন হোমে-যজ্ঞে লাগানোর জন্য ইস্টবেঙ্গল নিয়েছে তা বোঝা গেল দুই ম্যাচ পরেও। না কোনও আক্রমণাত্মক মুভ রয়েছে না খেলার মধ্যে রয়েছে কোনও পরিকল্পনার ছাপ। সুমিত পাসিকে শেষ পর্যন্ত রিজার্ভে বসিয়ে সারা মরসুম টেনে নিয়ে যেতে হলে একে বারেই অবাক হবেন না। এই ম্যাচে ড্র-এর ফলে ডুরান্ডে যাত্রা প্রায় শেষ করল লাল-হলুদ। পরবর্তী দুই ম্যাচ এটিকে মোহনবাগান এবং মুম্বই সিটি এফসি'র বিরুদ্ধে জিততে না পারলে গ্রুপ পর্ব থেকেই ডুরান্ডে বেরিয়ে যাওয়ার পথ ধরতে হবে।