ভাইচুংয়ের মনোনয়ন
ফিফা ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে নির্বাসিত করার আগে নির্বাচনের দিন ধার্য ছিল ২৮ অগাস্ট। সেই মোতাবেক ভাইচুং, কল্যাণ-সহ অনেকেই নির্বাচনে লড়ার জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ফের নতুন করে নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। নির্বাচনের দিন এক সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হয়। ফেডারেশনও জানিয়ে দেয়, ২ সেপ্টেম্বর নির্বাচন হবে। কিন্তু আজ সকাল পর্যন্ত যা পরিস্থিতি ছিল তাতে বোঝা যাচ্ছিল, ফেডারেশনের দায়িত্বে কারা আসবেন তা ভোটাভুটি এড়িয়েই নিশ্চিত সম্ভব হবে। যদিও বদলে গিয়েছে পরিস্থিতি। হারবেন জেনেও ভোটে লড়ছেন পাহাড়ি বিছে।
কল্যাণরাই ফেভারিট
এআইএফএফ নির্বাচনে ভোটাধিকার রয়েছে ৩৬টি রাজ্য ফুটবল সংস্থার। ফেডারেশন সূত্রের খবর, গতকাল দিল্লির হোটেলে অন্তত ৩০টি ফুটবল সংস্থা কল্যাণ চৌবেকে সভাপতি পদে মেনে নিতে রাজি হয়ে যান। অনেক রাতের দিকে জানা যায়, সর্বসম্মত প্রার্থী হিসেবেই মনোনয়ন জমা দেবেন কল্যাণ চৌবে। তেমনই সর্বসম্মতভাবেই সহ সভাপতি পদে এন এ হ্যারিস এবং কোষাধ্যক্ষ পদে কিপা অজয়ের নাম সামনে এসেছিল। কার্যকরী কমিটি গঠনের পর সাজি প্রভাকরণ সেক্রেটারি জেনারেল হবেন, এমনটাও চূড়ান্ত হয়ে যায়।
দুই সংস্থার ভুটিয়াকে সমর্থন
আজ যখন কল্যাণ চৌবেরা প্যানেল নিয়ে মনোনয়ন দখল করতে যান, তখনই জানা যায় সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন ভাইচুং ভুটিয়া। ২৮ অগাস্টের নির্বাচনের জন্য ভাইচুং প্রাক্তন ফুটবলার হিসেবে ভোটে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। প্রশাসনে ফুটবলারদের আনার পথ মসৃণ করতে তিনি বারবার সওয়ালও করেন। কিন্তু ফিফার ইচ্ছাকে মান্যতা দিয়ে প্রাক্তন ফুটবলারদের ভোটাধিকার প্রদানের পদক্ষেপ থেকে ফেডারেশনকে এখন পিছু হঠতে হয়েছে।
নিয়মরক্ষার লড়াইয়ে গোলকিপার বনাম স্ট্রাইকার
ভাইচুং এদিন যে মনোনয়ন দাখিল করেছেন তা কিন্তু ফুটবলার হিসেবে নন। জানা যাচ্ছে, ভাইচুংয়ের নাম প্রস্তাব করেছে অন্ধ্রপ্রদেশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। সমর্থন জানিয়েছে রাজস্থান ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনও। ২৭ অগাস্ট অবধি মনোনয়ন দাখিল করা যাবে। স্ক্রুটিনি হবে ২৮ অগাস্ট। নাম প্রত্যাহার করা যাবে ২৯ অগাস্ট। ৩০ অগাস্ট ফেডারেশনের ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে কোন পদের জন্য কারা লড়াই করছেন নির্বাচনে। ২ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের পর ওইদিন বা তার পরদিন ফল ঘোষণা। সর্বসম্মতভাবে কল্যাণরা জিতে গেলে ভোটাভুটির দরকার হতো না। তবে এখন সভাপতি পদে নির্বাচন হচ্ছেই। যদি না ভাইচুং পরে মত বদলান। তবে ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছেন, জাপানের বিরুদ্ধে হারব জানলেও খেলতে হয়। খেলা থেকে সরে থাকা যায় না। ফলে ভাইচুং নিজেও জানেন তিনি জিততে পারবেন না। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের পছন্দের প্রার্থীর বিরুদ্ধে কতজনের সমর্থন তিনি পান সেটাও গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।