প্রায় কয়েক মাস কেটে গিয়েছে এখনও রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ চলছে! যা নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কার্যত একজোট বিশ্বের একাংশ। আর এই অবস্থায় ফের একবার যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনের পাশে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের জন্য নতুন নিরাপত্তা সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করতে পারে।
তিন বিলিয়ন ডলারের প্যাকেজ ঘোষণা করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গত ছয় মাসের মধ্যে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সামরিক প্যাকেজটি ইউক্রেনের জন্য সবচেয়ে বড় আর্থিক সাহায্য হতে চলেছে। মার্কিন এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করা হতে পারে।
বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েকমাস কেটে গিয়েছে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছে। লাগাতার রাশিয়ার আক্রমণে একেবারে বিধ্বস্ত ইউক্রেন। যদিও ইতিমধ্যে একাধিক দেশ ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে যুদ্ধে না জড়ালেও প্রথম দিন থেকেই ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা। এই অবস্থায় ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসে কার্যত বড় 'উপহার' অপেক্ষা করছে ইউক্রেনের জন্যে।
মূলত ইউক্রেনের বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য এবং সরঞ্জাম কেনার জন্যে এই টাকা খরচ করা হবে। আগামী কয়েক বছরে যাতে কোনও সমস্যা না হয় সে কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সূত্রে খবর, তিন ধরণের ড্রোন, অন্যান্য সামরিক অস্ত্র এবং গোলাবারুদ কেনার জন্যে এই চুক্তি করা হচ্ছে।
ইউক্রেন সিকিউরিটি অ্যাসিসটেন্ট ইনিয়েসিটিভ নামে এই উদ্যোগ নিয়েছে আমেরিকা। চুক্তির জন্যে যে পরিমাণ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে তা খুব বেশি তারতম্য হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এমন মার্কিন আধিকারিকরা জানিয়েছেন, এই চুক্তির মধ্যে রয়েছে আকারে ছোট হাত দিয়েই ওড়ানো যায় এমন পিউমা ড্রোন। ঈগল নামে একটি নজরদারি ড্রোন। ব্রিটিশ ভ্যাম্পায়র ড্রোন সিস্টেমেও থাকবে বলে জানানো হয়েছে। যদিও এখনও এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনও বার্তা দেওয়া হয়নি।
তবে বিভিন্ন সুত্র থেকে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। একদিকে যখন ইউক্রেনের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া তখন ভবিষ্যতের কত্যহা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। এই সিদ্ধান্ত আমেরিকা এবং ইউক্রেনকে আরও কাছাকাছি আনবে বলেই মনে করা হচ্ছে। বুধবার হচ্ছে ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবস।
আর এদিনই ছয়মাসে পড়ছে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধ। ইউক্রেনের এই মুহূর্তে অস্ত্র এবং গোলাবারুদের খুব প্রয়োজন। আমেরিকা যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে অস্ত্র কিংবা সরঞ্জাম না পাওয়া গেলেও এর ফল হবে সুদূরপ্রসারী।
রেলের পরীক্ষায় পরীক্ষার্থী আসল না নকল! হাতে স্যানিটাইজার দিতেই ফাঁস ছক