এআইএফএফের সভাপতি কল্যাণ চৌবে, বিজেপি-কংগ্রেস মেলবন্ধনে ভোটাভুটি এড়িয়ে কোন পদে কারা?

বিসিসিআইয়ে রয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার এআইএফএফের সভাপতি বাংলা থেকেই কল্যাণ চৌবে। দেশের প্রাক্তন গোলকিপার তথা বিজেপি নেতা কল্যাণকেই সভাপতি হিসেবে মেনে নিয়েছে ভোটাধিকার থাকা রাজ্য ফুটবল সংস্থাগুলি। ফেডারেশনের কমিটি হচ্ছে বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটিয়েই!

কল্যাণ সভাপতি, হ্যারিস সহ সভাপতি

বিজেপি নেতা কল্যাণের মতো কংগ্রেস নেতা তথা কর্নাটক রাজ্য ফুটবল সংস্থার এন এ হ্যারিস সর্বসম্মতভাবেই সহ সভাপতি পদে বসছেন। অরুণাচল ফুটবল সংস্থার কিপা অজয় ফেডারেশনের কোষাধ্যক্ষ হচ্ছেন সর্বসম্মতভাবেই। বিজেপি ও কংগ্রেসের মেলবন্ধনের ছবিই উঠে এসেছিল গতকাল দিল্লির এক হোটেলে এআইএফএফ নির্বাচনে ভোটাধিকার থাকা রাজ্য সংস্থাগুলির প্রতিনিধিদের বৈঠকে। সেখানেই নতুন কমিটিতে কে কোন পদে থাকবেন তা চূড়ান্ত হয়েছে বলে দাবি করেছে সংবাদসংস্থা আইএএনএস। কার্যকরী কমিটি তৈরির পরেই দিল্লি ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্ট সাজি প্রভাকরণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি জেনারেল হবেন বলে জানা যাচ্ছে।

দিল্লির হোটেলে বৈঠক

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এআইএফএফের নির্বাচন এক সপ্তাহ পিছিয়ে গিয়েছিল। পরে ফেডারেশনের তরফে জানানো হয়, ২ সেপ্টেম্বর হবে নির্বাচন। সেজন্য আজ থেকে মনোনয়ন দাখিল করার পর্ব শুরু হয়। গতকাল রাতের বৈঠকেই স্থির হয়ে যায়, সমস্ত রাজ্য ফুটবল সংস্থাগুলিই সর্বসম্মতভাবে নতুন কমিটির পদাধিকারীদের মনোনীত করবে। আর তাতেই নির্বাচন এড়িয়ে কমিটি গঠন করা সম্ভব হবে। প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় যুবকল্যাণ ও ক্রীড়া মন্ত্রকের পছন্দ ছিলেন কল্যাণ চৌবে। কেন্দ্রের শাসক দলের তরফে বিভিন্ন রাজ্য সংস্থার ফুটবল কর্তাদের কাছে এই বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হয়, কল্যাণকেই সভাপতি পদে সমর্থন করতে। তারপর গোটা বিষয়টি অন্য মাত্রা পায় দিল্লির হোটেলের রাতের বৈঠকে।

নির্বাসন ওঠার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত

জানা গিয়েছে, গতকাল রাজ্য ফুটবল সংস্থাগুলির তরফে ডাকা সাংবাদিক সম্মেলন বাতিল হয়ে গিয়েছিল কয়েকটি নাম নিয়ে একটু আলোচনার প্রয়োজন থাকায়। যদিও রাতের মধ্যেই সামগ্রিকভাবে সমস্ত মেঘ কেটে যায়। ওই বৈঠকের পরেই স্থির হয়ে গিয়েছিল কল্যাণ চৌবে ও এন এ হ্যারিস হচ্ছেন সর্বসম্মত সভাপতি ও সহ সভাপতি। ভোটাভুটি এড়িয়ে কমিটি গঠনের ফলে চলতি সপ্তাহেই ফিফা ভারতের উপর থেকে নির্বাসন তুলে নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

কার্যকরী কমিটিতে কারা?

এআইএফএফে যে টিম তৈরি হচ্ছে তাতে বিজেপি ও কংগ্রেসের হাত ধরাধরি স্পষ্ট। এআইএফএফের ১৪ সদস্যের সম্ভাব্য কমিটিতে থাকছেন অভিজিৎ পাল (ওডিশা), সৈয়দ ইমতিয়াজ হুসাইনভ (বিহার), মেনলা এথেনপা (সিকিম), মোহন লাল (ছত্তীসগঢ়), লালংহিংগ্লোভা হমার (মিজোরাম), কে নেইবু সেখোজ (নাগাল্যান্ড), দীপক শর্মা (হিমাচল প্রদেশ), আরিফ আলি (উত্তরাখণ্ড), বিজয় বালি (পাঞ্জাব), অনিলকুমার পি (কেরল), জি পি পালগুনা (তেলঙ্গানা), দিলীপ সিং শেখাওয়াত (রাজস্থান), মালোজি রাজে ছত্রপতি (মহারাষ্ট্রের পশ্চিম ভারত ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন) ও ভালাঙ্কা নাতাশা আলেমাও (গোয়া)। এই তালিকায় সিলমোহর পড়লে ফেডারেশনের কমিটিতে থাকা হবে না ফেডারেশন সভাপতি হতে ইচ্ছুক অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ে, যিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাদা।

More AIFF News  

Read more about:
English summary
Kalyan Chaubey Set To Become AIFF President, NA Harris Will Be The Vice President And Kipa Ajay To Become Treasurer. The Decision Has Been Taken During A Meeting Of The State Associations In A Delhi Hotel Yesterday.
Story first published: Thursday, August 25, 2022, 13:24 [IST]