|
অনুপ্রবেশের সময় আহত
সীমান্তে অনুপ্রবেশের সময় গুলিতে আহত হয় তবারক হুসেন নামে ওই জঙ্গি। সংবাদ সংস্থার সঙ্গে কথা বলার সময় সে জানিয়েছে, ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের সময় তাঁর সঙ্গে আর চার-পাঁচজন ছিল। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে চিকিৎসাধীন ওই জঙ্গি বলছে, উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষায় ভারতের সীমান্ত চৌকি রেইকি করেছিল সে। ওই জঙ্গি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সবজকোট গ্রামের বাসিন্দা বলে দাবি করেছে।
সীমান্তে অনুপ্রবেশের সময় ভারতীয় সেনার হাতে ধরা পড়ে তবারক হুসেন। সে জানিয়েছে, আরও চার-পাঁচজনের সঙ্গে সে আত্মঘাতী মিশনে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিল। পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কর্নেল ইউনুস ভারতীয় সেনাকে লক্ষ করে আত্মঘাতী হামলা ঘটাতে তাকে ৩০ হাজার টাকা দিয়েছিল।
প্রশিক্ষণে পাক বাহিনীর মেজর
জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ওই জঙ্গি জানিয়েছে, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর মেজর রাজা তাঁকে প্রশিক্ষণ দেয়। দীর্ঘদিন সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত ওই জঙ্গি দাবি করেছে, তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল পাকিস্তানের সেনা। পরে সে ভারতীয় সেনার হাতে ধরা পড়ে। সে জানিয়েছে, একদিকে সে যেমন ছয়মাসের জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়েছে, অন্যদিকে দাবি করেছে পাকিস্তানের সেনার দ্বারা পরিচালিত লস্কর ও জৈশ শিবিরও সে পরিদর্শন করেছে।
আগে ধরা পড়েও মানবিক কারণে ছাড়া পায়
রাজৌরির সেনা হাসপাতালের কমান্ডান্ট ব্রিগেডিয়ার রাজীব নায়ার জানিয়েছেন, তবারক হুসেনের অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি বলেছেন, যে হামলাকারী ভারতীয় সেনার জীবন নিতে এসেছিল, তাকে বাঁচানো হয়েছে। সেনা কর্তা বলেছেন, গ্রেফতারের সময় ওই জঙ্গি বলেছে, সে মরার জন্য এসেছিল। কিন্তু তার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।
ওই জঙ্গি জানিয়েছে ২০১৬-তে রাজৌরি সেক্টর থেকেই তাঁর ভাই হারুন আলির সঙ্গে ধরা পড়ে। তবে ২০১৭-র নভেম্বরে মানবিক কারণে প্রত্যার্পণ করা হয়েছিল।
জঙ্গি হামলা প্রতিহত করেছে ভারতীয় সেনা
ভারতীয় সেনার তরফে সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের শান্তি বিঘ্নিত করতে পাকিস্তান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নৌসেরা সেক্টরে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দুটি হামলা ব্যর্থ করে দেওয়া হয়েছে। ২১ ও ২২ অগাস্ট ঝাঙ্গার ও লামে দুই জঙ্গি গুলিতে মারা যায়।
সেনাবাহিনীর ৮০ তম পদাতিক ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার কপিল রানা বলেছেন, ২১ অগাস্ট প্রথমে হামলার চেষ্টা করে জঙ্গিরা। সেদিন ভোরে সেনা জওয়ানরা নিয়ন্ত্রণ রেখায় তিন জঙ্গির গতিবিধি লক্ষ্য করে। এক জঙ্গি সীমান্তের বেড়া কেটে ঢোকার চেষ্টা করলে তাকে গুলি করা হয়। সেই তবারক হুসেন। সঙ্গে থাকা জঙ্গিরা পালিয়ে যায়।
পরে ২২ ও ২৩ অগাস্ট রাতে দু থেকে তিনজনের দল দাম এলাকায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। সেই সময় সীমান্তে মাইন সক্রিয় হয়ে যায় এবং বিস্ফোরণে মারা যায় দুই জঙ্গি। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুই জঙ্গির দেহ উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে একটি একে ৫৬ রাইফেল, তিনটি ম্যাগাজিন এবং প্রচুর গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওই সেনাকর্তা। এখনও ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান জারি আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।