পালামু জঙ্গল সাফারি
পাশের রাজ্য ঝাড়খণ্ড। সেখােন দেখার জায়গার অভাব েনই। বর্ষা থেকে শীত পর্যটনের উপযুক্ত সময় বলে মনে করা ঝাড়খণ্ডে। এখানে একাধিক দেখার জায়গা রয়েছে। ঝাড়খণ্ডের অন্যতম ভাল জায়গা পালামু অভয়ারণ্য। শাল, পিয়াল আর মহুয়া গাছের ভিড়ে হারিয়ে যাবে মন। জঙ্গলের রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতে বাঘের দেখা মিলতে পারে। রয়েছে হাতিও। রয়েছে একাধিক নাম না জানা পাখি দেখা যায় এখানে। একশো চুয়াত্তর ধরনের পাখি দেখা যায় এই অভয়ারণ্যে। প্যারাডাইস, ফ্লাই ক্যাচার সহ একাধিক নাম না জানা পাখি।
জঙ্গল সাফারির মজা উপভোগ করা যায়
এই জঙ্গলে জঙ্গল সাফারির মজাই আলাদা। জলদাপাড়া থেকে শুরু করে জিপ সাফারি সবটাই হয়। প্রথম সাফারি হয় সকালে দশটা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত আর বিকেলের সাফারি শুরু হয় দুপুর ২টো থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। আগে থেকে সেখানে গিয়ে টিকিট বুক করে রাখতে হয়। হাতির পিঠে সাফারির মজাই আলাদা। হাজির পিঠে চড়ে জঙ্গলে ঘুরতে ঘুরতে দেখা যেতে পারে হরিণের পালের আনাগোনা। কপাল ভাল থাকলে দক্ষিণরায়ের দেখা পাওয়া থেকে পারে।
কীভাবে যাবেন
বেতলা অভয়ারণ্যের যেতে ট্রেন সফর করাই ভাল। হওড়া এবং শিয়ালদহ থেকে ট্রেন ছাড়ে। ডাল্টনগঞ্জে নামতে হবে। সেখান থেকে গাড়িতে চলে আসা যাবে বেতলা বা পালামু অভয়ারণ্যে। ডালটনগঞ্জ থেকে মাত্র ২৪ কিলোমিটার দূরে রয়েছে বেতলা অভয়ারণ্য। আগে থেকে গাড়ি বুক করে রাখতে পারেন। থাকার জন্য আদর্শ হতেই পারে ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের বনবাংলো। কাজেই খুব বেশি ছুটোছুটি না করেই তিন দিনের ছুটিতে বেড়িয়ে আসা যায় বেতলা অভয়ারণ্য।
আর কী আছে দেখার
বেতলার কাছেই আছে অনেক দেখার জায়গা। অভয়ারণ্যের কাছেই রয়েছে কেচকি নদী। এই কেচকি নদীর পাড়ে গেলেই মনে পড়ে যাবে সত্যজিত রায়ের অরণ্যের দিনরাত্রির ছবির কথা। এই কেচকিতেই অরণ্যের দিন রাত্রির শ্যুটিং করেছিলেন সত্যজিৎ রায়। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় উপন্যাস অরণ্যের দিন রাত্রিকে সেলুলয়েডে ফুটিয়ে তুলেছিলেন সত্যজিৎ রায়।