অন্য একজনের হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক যুবক! গুজরাটের ভদদোরা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ওই যুবক বিহারের বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। রেলের নিয়োগের একটি পরীক্ষায় এই ঘটনা ঘটেছে। এই কাজ করার জন্যে এক অভিনব কৌশল নিয়েছিলেন ওই যুবক। যিনি আসল পরীক্ষার্থী তাঁর বুড়ো আঙুলের নক ত্বক ছেপে নিয়েছিলেন নিজের আঙুলে।
আর তা দিয়েই পরীক্ষাতে বসে যায় ওই যুবক। যদিও শেষমেশ ধরা পড়েছে সব কীর্তি।
সোমবার ছিল রেলের ওয়ান স্তরের একটি পরীক্ষা। গ্যাংমেন এবং সেলর পদের জন্য এই পরীক্ষা চলছিল। গুজরাটের একাধিক কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছিল। এই ঘটনাটি ঘটেছে ভদদোরার লক্ষ্মীপুরায় টিসিএসের একটি কেন্দ্রে। ধৃতের নাম রাজ্য গুরু গুপ্তা। যার হয়ে তিনি পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন তাঁর নাম মনিশ কুমার শম্ভু প্রসাদ। এই ব্যক্তি বিহারের বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। কার্যত এই ঘটনায় অবাক রেলের আধিকারিকরাও।
মনিশ কুমার শম্ভু প্রসাদের সমস্ত আসল নথি নিয়েই পরীক্ষা হলে পৌছে ছিলেন রাজ্য গুরু গুপ্তা। এমনটাই পুলিশ সূত্রে খবর। পরীক্ষা কেন্দ্রে যিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ছিলেন তিনি রাজ্য গুরু গুপ্তা ছাপ নিয়ে ছিলেন। আর তা নেওয়ার সময়েই সমস্ত জালিয়াতি ধরা পড়ে যায়। পরীক্ষার্থীর বাঁ হাতের ছাপ নিতে গিয়েছিলেন তিনি।
যখন তিনি পারছিলেন না তখন হাতে স্যানেটাইজার দিতে যান ওই অফিসার। আর তা দিতেই হাতের আঙুলে লাগানো ওই নকল চামড়া উঠে আসে। আর তা উঠে আসতেই একেবারে কেলেঙ্কারি ঘটনা। একেবারে হাতেনাতে ধরা পড়ে যায় ওই যুবক।
ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। এমনকি রেলের তরফেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কার্যত পরীক্ষা হলে টুকলি রুখতে নানা পন্থা নিয়েছে রেল। এমনকি জামা কাপড় থেকে শুরু করে জুতো পরার ক্ষেত্রেও রয়েছে বিভিন্ন বিধি নিষেধ। কিন্তু এই ঘটনায় রীতিমত অবাক রেলের আধিকারিকরা।
একদিকে পরীক্ষাতে টুকলি কিংবা জালিয়াতি রুখতে কড়া হচ্ছে অন্যদিকে বিভিন্ন উপায়ে এই কাজ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে পরীক্ষারথীরা। তবে এই ঘটনা একেবারেই অভিনব। একেবারে নকল চামড়া ব্যবহার করে চলছে জালিয়াতি। যা একেবারে চমকে দেওয়ার তো।
পুলিশ সূত্রে খবর, বিভিন্ন রাসায়ানিক ব্যবহার করে আসল পরীক্ষার্থীর আঙুলের ছাপ ওই যুবক নিয়ে নেয়। এইও মুহূর্তে ওই যুবককে জেরা করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।