সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে বিজেপি
অনুব্রত মণ্ডলকে আজ আসানসোল আদালতে পেশ করা হবে। তার আগে গতকাল বিচারকের কাছে যায় হুমকি চিঠি। কেষ্টর জামিন মঞ্জুরর করার কথা সেখানে লেখা হয়েছিল। তাই নিেয় তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কলকাতা হাইকোর্টের বিজেপির আইনজীবী সংগঠন ঘটনার তীব্র নিন্দা করে শেষে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বুধবার প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনা সঙ্গে দেখা করবেন আইনজীবীরা। দুপুরে আইনজীবীদের সময় দিয়েছেন বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কবির শঙ্কর বসু সহ তিন আইনজীবী প্রধান বিচারপতি সঙ্গে দেখা করে ঘটনার প্রতিবাদ জানাবেন। এভাবে বিচারককে হুমকি চিঠি দেওয়ায় দেশের বিচার ব্যবস্থাকে আঘাত করা হয়েছে বলেই দাবি আইনজীবীদের
তদন্তে পুলিশ
এদিকে বিচারককে হুমকি চিঠি দেওয়ার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আইনজীবী মহল ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে। গতকাল হুমকি চিঠি পাওয়ার পরেই বিচারক সিবিআই আদালতের পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টকে জানিয়েছিলেন। তার পর লিখিতভাবে দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারকে অভিযোগ জানান। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতেইপুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। আদালতে আসা ওই চিঠি ডাক বিভাগের মাধ্যমে এসেছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নাকি কেউ হাতে করে দিয়ে গিয়েছেন সেটা খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা গিয়েছেন। প্রয়োজনে পোস্ট অফিসের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হতে পারে বলে খবর।
পাল্টা চাপ কেষ্টর
এদিেক আবার অনুূব্রত মণ্ডল বুধবার নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়েই বিচারককে হুমকি চিঠির সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন। তিিন বলেছেন, বিচারকের কাছে তিনি অনুরোধ করবেন কারা তঁাকে হুমকি চিঠি পাঠালেন তাঁর যেন সিবিআই তদন্ত হয়। কেষ্টর এই দাবিতে স্পষ্ট যে বিজেপির বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ করছেন তিিন। অর্থাৎ তাঁকে ফাঁসানোর জন্যই বিজেপি এইসব কাজ করাচ্ছেন বলে পরোক্ষে বোঝাতে চেয়েছেন তিনি।
বিচারককে হুমকি চিঠি
গতাকাল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী অভিযোগে করেন তাঁর কাছে একটি হুমকি চিঠি এসেছে। সেই চিঠিতে লেখা হয়েছিল বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে জামিন দিতে হবে, নাহলে বিচারক ও তাঁর পরিবারকে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। এদিকে আজ ফের আদালতে পেশ করা হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। তাঁকে চোদ্দ দিনের হেফাজত চাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।