১৪ দিনের জেল হেফাজত
মিলল না জামিন। প্রভাবশালী তত্ত্বে অনুব্রত মণ্ডলের চোদ্দ দিনে জেল হেফাজতের িনর্দেশ দিয়েছে আদালত। সিবিআই আদালতে জামিনের বিরোধিতা করে জানিয়েছিল, প্রচণ্ড প্রভাবশালী অনুব্রত মণ্ডল। এই পরিস্থিতিতে যদি তাঁকে জামিন দেয়া হয় তাহলে তিনি তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারেন। জামিনের বিরোধিতা করতে গিয়ে সিবিআই জানায় গরুপাচার জাতীয় স্তরের অপরাধ। কাজেই অনুব্রত মণ্ডলের জামিন কিছুতেই দেয়া যাবে না। কিন্তু অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিনের আর্জি জায়েছিলেন কেষ্ট। কিন্তু সেই যুক্তি খারিজ হয়ে যায় আদালতে।
কোথায় রাখা হবে কেষ্টকে
সূত্রের খবর আসানসোল সংশোধনাগারে রাখা হবে অনুব্রত মণ্ডলকে। সূত্রের খবর সেই সংেশাধনাগারেই রয়েছেন তাঁর দেহ রক্ষী সায়গল। মনে করা হচ্ছে জেলে গিয়ে সায়গলের সঙ্গে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হতে পারে কেষ্টকে। একই সংশোধনাগারে থাকায় কেষ্টর সঙ্গে সায়গলের দেখা হতেই পারে। সায়গলের ৪৫টি সম্পত্তির ডিডে অনুব্রতর নাম রয়েছে। সায়গলের বিপুল সম্পত্তির েনপথ্যে রয়েছে গরু পাচারের টাকা এমনই মনে করছে সিবিআই।
সিবিআইয়ের প্রভাবশালী তত্ত্ব
অনুব্রত মণ্ডল যাতে জামিন না পান তার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল সিবিআই। সেকারণে শুনানির শুরুতেই অনুূব্রতর বিরুদ্ধে প্রভাবশালী তত্ত্ব পেশ করেছিলেন তাঁরা। বিপুল সম্পত্তির মালিক অনুব্রত মণ্ডল। সেই সঙ্গে একাধিক স্তরে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে। তাঁকে জামিন দেয়া হলে তদন্তকে প্রভাবিত করবেন। কাজেই কিছুতেই তাঁকে জামিন দেয়া যাবে না। বিচারকের কাছে বারবার দাবি জািনয়েছে সিবিআই। গরুপাচার জতীয় স্তরের অপরাধ। জাতীয় অপরাধে জড়িত বিএসএফ।
অসুস্থতার যুক্তি খারিজ
জামিেনর আর্জি জানিয়ে আদালতে অসুস্থতার কারণ দেখিয়েছিলেন কেষ্টর আইজীবী। জানােনা হয়েছিল অক্সিজেনের প্রয়োজন হতে পারে তাঁর। গরুপাচার কাণ্ডের এফআইআরে কোথাও অনুব্রত মণ্ডলের নাম নেই। শুধু মাত্র কয়েকজনের বক্তব্যের ভিত্তিতে তঁাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কারোর সঙ্গে ২-৩ জন লোক থাকলেই তিনি প্রভাবশালী হয়ে যান না বলে আদালতে জািনয়েছিলেন কেষ্টর আইনজীবী। সেই সঙ্গে তাঁর আইনজীবী দাবি করেছিলেন কারোর বিপুল সম্পত্তি থাকলে তিিন আয়করে জরিমানা দিয়ে তা পূরণ করবে কিন্তু জেলে রাখা হবে কেন?