বিজেপি কর্মীদের মুক্তির দাবিতে মিছিল
ঘটনার সূত্রপাত বেশ কিছুদিন আগ। দিল্লি সরকারের আবগারি দফতরের নয়া নীতি বাস্তবায়নে দুর্নীতির অভিযোগে তেলেঙ্গানার বিজেপি নেতা, কর্মী, সমর্থকরা বিক্ষোভ করেন। বেশ কয়েকজন বিজেপির কর্মী টিআরএসের এমএলসি কে কবিতার বাইরে বিক্ষোভ দেখান বলে অভিযোগ। এরপরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তেলেঙ্গানার পুলিশ কে কবিতার বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখানো বিজেপির বেশ কয়েকজন কর্মীকে আটক করে। তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ নিয়ে আসা হয়। বিজেপি কর্মীদের আটকে গেরুয়া শিবির ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ তুলে নেওয়ার এবং তাঁদের মুক্তি দেওয়ার দাবি জানায়। সোমবার গেরুয়া শিবির বিজেপি কর্মীদের মুক্তির দাবিতে রাজ্য জুড়ে আন্দোলন চালায়। তেলেঙ্গানায় বিজেপির একাধিক নেতা ধরনায় বসেন। সোমবার তেলেঙ্গানার জনগাঁও জেলার রাজ্য বিজেপির সভাপতি বান্দি সঞ্জয় কুমারের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। পুলিশের সঙ্গে বিজেপির খণ্ড যুদ্ধ শুরু হয় এই মিছিলকে কেন্দ্র করে। পুলিশ এরপরেই বিজেপি সাংসদ বান্দি সঞ্জয় কুমারকে আটক করে।
আপকে ক্রমাগত আক্রমণ বিজেপির
দিল্লি সরকারে নয়া আবগারি নীতি বাস্তবায়নে দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই তদন্ত করতে শুরু করেছে। সিবিআই দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মনীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে তল্লাশি চালায়। ঘটনার পর থেকে বিজেপি তীব্রভাবে আপকে আক্রমণ শুরু করেছে। বিজেপির একাধিক নেতা অভিযোগ করেছেন, মনীশ সিসোদিয়া এই দুর্নীতির প্রধান অভিযুক্ত হতে পারে। কিন্তু প্রধান মাথা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। যদিও আপ সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, দিল্লি সরকার শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে প্রচুর উন্নতি করছে। দিল্লি সরকারের দুর্নীতি মুক্ত ইমেজটাকে নষ্ট করতেই বিজেপি একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ করেছে।
হায়দরাবাদে গ্রেফতার বিজেপি বিধায়ক
অন্যদিকে নবীকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের অভিযোগে গোশাহমলের বিজেপি বিধায়ক রাজা সিংকে হায়দরাবাদ পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ১০ মিনিটের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট করেন রাজা সিং। সেখানে কৌতুক শিল্পী মুনাওয়ালা ফারুকিকে তিরষ্কার করতে দেখা যায়। পাশাপাশি তিনি নবী মহম্মদকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এই ভিডিও প্রকাশ পাওয়ার পরেই একাধিক জায়গা থেকে বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের খবর পাওয়া যায়। ঘটনার জেরে পুলিশ বিজেপি বিধায়ক রাজা সিংকে গ্রেফতার করে।