বিজেপি ছাড়তে পারেন? তাৎপর্যপূর্ণ উত্তর দিলীপের
সম্প্রতি সিবিআই নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁকে এ বিষয়ে সতর্কও করে দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এরপরই গুঞ্জন তৈরি হয়, যেহেতু নানা বিষয়ে বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে, দিলীপ ঘোষ বিজেপি ছাড়তে পারেন। এই প্রশ্ন সরাসরি তাঁর উদ্দেশ্যে করা হয়েছিল। তার তাৎপর্যপূর্ণ উত্তর দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
আরএসএসের কথায় জবাব দিলেন দিলীপ ঘোষ
দিলীপ ঘোষ জল্পনার জবাব দিয়েছেন আরএসসের প্রসঙ্গ টেনে। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বর্তমানে কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, আমি আরএসএসের আদর্শে দীক্ষিত। সংসার না করে বহুবছর আমি সংঘের প্রচারক হিসেবে কাজ করেছি। সংঘের নির্দেশে চলেছি, ভবিষ্যতেও সংঘের নির্দেশ মেনে চলব। তিনি সংঘের নির্দেশ মেনে বিজেপিতে এসেছিলেন, বিজেপির রাজ্য সভাপতি হয়েছিলেন। এখনও চলব সংঘের দেখানো পথে।
‘দিবাস্বপ্ন দেখছেন আমার বিজেপি ছাড়া নিয়ে’
এ প্রসঙ্গে তিনি স্পষ্ট করেই বলে দেন, তিনি বিজেপিতে আছেন, বিজেপিতেই থাকবেন। তিনি বুঝিয়েই দিয়েছেন, আরএসএসের আদর্শ নিয়ে সারাজীবন চলেছি, তাই বিজেপি ছাড়ার কোনও অর্থই নেই। তাঁর সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক ছিন্ন হোক কেউ কেউ চাইছেন, তাঁরা দিবাস্বপ্ন দেখছেন আমার বিজেপি ছাড়া নিয়ে। এইসব জল্পনা নিয়ে আমার কিছু যায় আসে না।
সিবিআইয়ের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ
এদিনই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা অমিত মালব্যের মাধ্যমে কথা বলেন দিলীপ ঘোষের সঙ্গে। তিনি দিলীপ ঘোষকে সিবিআই বা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা নিয়ে মন্তব্য করার আগে সতর্ক থাকুন। গত কয়েকদিন ধরে তিনি ক্রমাগত সিবিআই সম্পর্কে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআইয়ের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন দিলীপ ঘোষ।
সিবিআই মন্তব্য নিয়ে সাফাই দিলীপ ঘোষের
ভোট পরবর্তী মামলায় রাজ্য বিজেপির দাবি মোতাবেক হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। এই মামলায় কোনও অভিযুক্তেরই শাস্তির ব্যবস্থা করতে পারেনি সিবিআই। এর ফলে দলের নীচুতলার কর্মী ও নিহত বিজেপি কর্মীদের পরিবারের ক্ষোভ বাড়ছে। তাই দিলীপ ঘোষ এই মন্তব্য করেছিলেন। যদিও বিজেপি সভাপতি এই যুক্তি মানতে চাননি।
সতর্ক করা হলেও নিজের অবস্থান অনড় দিলীপ
তবে দিলীপ ঘোষকে সতর্ক করা হলেও তিনি নিজের অবস্থান অনড় থেকেছেন। তিনি সাফ জানিয়েছেন, কার সিবিআই দেখার দরকার নেই। তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য রাজনীতি করি, রাজ্যের পরিবর্তনের জন্য লড়াই করেছি। কাউকে সন্তুষ্ট করার জন্য রাজনীতি করি না। উল্লেখ্য, দিলীপ ঘোষের বেফাঁস ও বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে সেন্সর করা হয়েছিল। তবে এখন তাঁর সেন্সর তুলে নেওয়া হয়েছে। তারপর তিনি ফের বিতর্কে জড়ালেন সিবিআই নিয়ে মামলা করে।