প্রফুল প্যাটেল ইস্যুতে বড় মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার দেশের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয় বলেছে, "প্রতিযোগীতা বানচাল করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি" যখন জানা গিয়েছিল সর্ব ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন (এআইএফএফ)-কে নির্বাসিত করেছে ফিফা এবং ফল হিসেবে অক্টোবরে হতে চলা অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপের আয়োজনের স্বত্ত্ব হারাতে পারে ভারত।
এআইএফএফ-এর দৈনন্দিন বিষয়গুলি পরিচালনাকারী কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর (সিওএ)-কে অস্তিত্বহীন করে দেওয়ার আবেদনের শুনানিতেই দুই বিচারপতির বেঞ্চের অন্যতম বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলছিলেন, "আপনি আমাদের জানান যে আপনার আপত্ত রয়েছে এবং আপনি প্রতিযোগীতা বানচাল করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। প্রফুল প্যাটেল প্রতিযোগীতাকে বানচাল করে দেওয়ার প্রচেষ্টা করছেন। আপনি এখনও আবার চেষ্টা করুন। আমরা আপনার সঙ্গে মোকাবিলা করব।"
ফিফা মূলত তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনে ভারতীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা এআইএফএফ-কে নির্বাসিত করেছে। ফিফার আইনে স্পষ্ট ভাবে বলে হয়েছে, ফিফা স্বীকৃত প্রতিটি দেশের ফুটবল সংস্থা হবে স্ব-শাসিত। এই সংস্থায় কোনও হস্তক্ষেপ থাকবে না, সরকার বা কোনও তৃতীয় পক্ষের। সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশে নিযুক্ত কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেটর (সিওএ) এআইএফএফ-এর অভ্যন্তরীন বিষয়ে ঢোকার ফলেই নির্বাসিত হতে হয় ভারতীয় ফুটবলকে। ফিফার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, "পরিকল্পনা অনুযায়ী ১১-৩০ অক্টোবর ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ মহিলা বিশ্বকাপ ভারতে হওয়ার কথা থাকলেও আপাতত তা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। টুর্নামেন্টের বিষয়ে পরবর্তী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা খাতিয়ে দেখছে ফিফা। ভারতের ক্রীড়ামন্ত্রকের সঙ্গে লাগাতার যোগাযোগ রেখে চলেছে ফিফা এবং তারা আশাবাদী এর সঠিক পথ খুঁজে বের করা সম্ভব হবে।"
ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনকে নির্বাসনমুক্ত করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রশাসক কমিটিকে সুপ্রিম কোর্ট ক্ষমতাহীন করে দেওয়ার সঙ্গে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ ক্লজ যেটাই ফিফার নির্বাসন পত্রে কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছিল তা আর যুক্তিযুক্ত নয়। এর পর নির্বাচন সমপন্ন এবং নতুন কমিটি গঠনের সঙ্গেই নির্বাসন ওঠার সম্পূর্ণতা নির্ভর করছে।