দেশের মুদ্রাস্ফীতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে
এক সাক্ষাৎকারে আরবিআই গভর্নর বলেন, 'যেভাবে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছিল, তা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। দেশের মুদ্রাস্ফীতি সর্বোচ্চ ৭.৮ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি তিন বার মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে। জুলাই মাসে মুদ্রাস্ফীতি কমে ৬.৭ শতাংশ হয়ে গিয়েছে। তবে দেশের মুদ্রাস্ফীতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে। বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন সেই দিকে আমরা নজর রাখি। পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরা কী ভাবছেন সেই বিষয়ে আমরা সমীক্ষা করি। সমস্ত দিক দেখে আমরা মনে করছি মুদ্রাস্ফীতি এখন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এখন মুদ্রাস্ফীতি ৬.৭ শতাংশে নেমেছে। তবে আমদের প্রথমে মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশে নামিয়ে আনতে হবে। তারপর ৪ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।' তিনি দাবি করেছেন, বিশ্বের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ওপর ভারতের মুদ্রাস্ফীতি নির্ভর করে।
শহরের থেকে গ্রামে মুদ্রাস্ফীতি বেশি
পর পর তিনমাস মুদ্রাস্ফীতি কমেছে। জুন মাসে মুদ্রাস্ফীতি ৭.০১ শতাংশ ছিল। তবে জুলাই মাসে মুদ্রাস্ফীতি বেশ খানিকটা কমেছে। জুলাই মাসে মুদ্রাস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬.৭৫ শতাংশ। মে মাসে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৭.০৪ শতাংশ। জুন মাসে শহরের থেকে গ্রামের মুদ্রাস্ফীতি বেশি ছিল বলে আরবিআই একটি রিপোর্টে জানিয়েছে। ২০২২ সালের জুন মাসে গ্রামের মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৭.০৯ শতাংশ। সেখানে শহরাঞ্চালে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৬.৯২ শতাংশ।
আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর মুদ্রাস্ফীতির প্রভাব
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, দেশের মুদ্রাস্ফীতি আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর নির্ভর করে। মূলত জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দামের ওপর মুদ্রাস্ফীতি নির্ভর করে। জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে যাওয়ার ফলে ভারতে তার প্রভাব পড়ে। মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়। রাশিয়ার ইউক্রেনের সামরিক অভিযানের ফলে বিশ্বজুড়ে খাদ্যদ্রব্যে ঘাটতি দেখা দেয়। রাষ্ট্রসংঘ বিশ্বজুড়ে খাদ্যের ঘাটতি দেখা দেবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে। এরপরেই নড়েচড়ে বসে রাষ্ট্রনেতারা। রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে কৃষ্ণসাগর ব্যবহার করার অনুমতি পায় ইউক্রেন। নতুন করে খাদ্যশস্য রফতানি করার সুযোগ পায়। যার জেরে খাদ্যপণ্যের দাম কমতে থাকে। পাশাপাশি অপরিশোধিত জ্বালানির দাম কমানোর বিষয়ে একাধিক সক্রিয় ভূমিকা গ্রহণ করা হয়েছে। যার ফলে বিশ্বে মুদ্রাস্ফীতি কমতে থাকে। যার প্রভাব ভারতে পড়ে।