নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধানবিচারপতি এনভি রমনার একটি বেঞ্চের তরফে জানানো হয়, নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টির ওপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে বর্তমানে বিষয়টি বিচারাধীন। এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে একটি অপেক্ষা করতে হবে। এই প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা পাঁচ বিচারপতির একটি সাংবিধানিক বেঞ্চের উল্লেখ করেন। শিবসেনা আসল অধিকার কোন শিবিরে এই বিষয়ে একধিক সাংবিধানিক প্রশ্ন উত্থাপন করে পিটিশন দাখিল করা হয়। আসল শিবেসনার লড়াইয়ের মামলা প্রথম থেকেই প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা সাংবিধানিক বেঞ্চে পাঠানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল।
নির্বাচন কমিশনে আবেদন শিন্ডে শিবিরের
শিবসেনা রাজনৈতিক দলের নাম ও প্রতীকের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল শিন্ডে শিবির। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের আবেদনের ভিত্তিতে ৮ অগস্টের মধ্যেই নির্বাচন কমিশনার শিবসেনার দুই শিবিরকে দলের অভ্যন্তরে সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের নথি পেশ করতে বলে। নির্বাচন কমিশনের কাছে একনাথ শিন্ডে আবেদন করেছিলেন, তাঁরাই আসল শিবসেনা। নিজের পক্ষে যুক্তি দিয়ে শিন্ডে বলেন, ১৫ জন বিধায়কের একটি দল, ৩৯ জন বিধায়কের একটি দলকে বিদ্রোহী বলতে পারে না। বরং এর উল্টোটা বলা যেতে পারে। এখনও পর্যন্ত শিন্ড শিবিরের বিধানসভায় দুই তৃতীয়াংশ বিধায়কদের সমর্থন রয়েছে। তবে শুধু বিধায়কদের সমর্থন নয়, দলটির নিয়ন্ত্রণের জন্য নীচুস্তরের ইউনিটগুলোর মধ্যেও সংখ্যা গরিষ্ঠতার প্রয়োজন রয়েছে। এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় ঠাকরে শিবির।
আদালতে ঠাকরে ও শিন্ডে শিবিরের দাবি
আসল শিবসেনার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ঠাকরে শিবির। চলতি মাসের শুরুর দিকে শিন্ডে শিবিরের তরফে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়, গণতান্ত্রিকভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যরা দলের অভ্যন্তরে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বিষয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ করা ঠিক হবে না।' অন্যদিকে, ঠাকরে শিবির আদালতে জানায়, শিন্ডে শিবির অবৈধভাবে দলের অভ্যন্তরে সংখ্যা গরিষ্ঠতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। যা একটি দলের জন্য কখনই কাম্য নয়।
একনাথ শিন্ডের উত্থান
একনাথ শিন্ডে মহারাষ্ট্রে মহা বিকাশ আঘাদি জোটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, এই শিবসেনার সঙ্গে বালা সাহেবের শিবসেনার কোনও মিল নেই। কয়েকজন ব্রিদ্রোহী শিবসেনা বিধায়ককে নিয়ে তিনি প্রথমে সুরাটে ও পরে অসমে আশ্রয় নেন। শিবসেনার বেশিরভাগ বিধায়ক ধীরে ধীরে একনাথ শিন্ডেকে সমর্থন করে। শিবসেনার ৩৯ জন বিধায়ক শিন্ডে শিবিরকে সমর্থন করে। অন্যদিকে, মাত্র ১৫ জন বিধায়ক ঠাকরে শিবিরকে সমর্থন করে। সংখ্যা গরিষ্ঠ বিধায়কদের সমর্থনে বিজেপির সঙ্গে একনাথ শিন্ডে শিবির সরকার গঠন করে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হন একনাথ শিন্ডে।