ইডির ক্ষমতা অপব্যবহার করছে কেন্দ্র , সুপ্রিম কোর্টের আর্থিক তছরুপ মামলার রায় পুনর্বিবেচনার সিদ্ধান্ত

আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইডির ক্ষমতার বিরোধিতা করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল বিরোধীরা। ইডি একবার গ্রেফতার করলে জামিন পাওয়া প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় বলে অভিযোগ। এই প্রেক্ষিতে ২৭ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়ের পুনর্বিবেচনার দাবিতে একটি পিটিশন তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এই পুনর্বিবেচনার পিটিশনটি সুপ্রিম কোর্টের প্রধানবিচারপতি এনভি রমনার নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চে মৌখিকভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

আর্থিক দুর্নীতি ও অর্থ পাচার দেশের ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে

প্রসঙ্গত, গত ২৭ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিচারপতি এএম খানইউলকরের নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ ৫৪৫ পৃষ্ঠার রায়ের পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিল, এই আইন অত্যন্ত কার্যকরী। আর্থিক দুর্নীতি ও অর্থ পাচার দেশের ব্যাধিতে পরিণত হচ্ছে। এর ফলে দেশের সামাজিক জীবন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আর্থিক দুর্নীতিকে নিয়ন্ত্রণ করতেই ইডিকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। ইডি যার জেরে স্বাধীনভাবে তলব করতে পারে। গ্রেফতার করতে পারে। প্রসঙ্গত, ইডি গ্রেফতারের আগে অভিযুক্তকে কারণ বলতে বাধ্য পর্যন্ত নয়। ইডি একবার গ্রেফতার করলে জামিন প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়। ইডির ক্ষমতার বিরোধিতা করেই বিরোধীরা সুপ্রিম কোর্টে হাজির হয়েছিল।

ইডির ক্ষমতা অপব্যবপার করছে কেন্দ্র

ইডির ক্ষমতার চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টে ২৪০টির বেশি পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল। ইডির বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জকারীরা সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ করেছেন। তাঁরা আইনের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ইডি ব্যক্তিগত স্বাধীনতার হস্তক্ষেপ করছে।পাশাপাশি বিরোধীরা অভিযোগ করে, ইডির ক্ষমতার অপব্যবহার করছে কেন্দ্র। অনেক ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে কেন্দ্র ইডির ব্যবহার করছে। ইডির ক্ষমতা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী অনিল দেশমুখ, কংগ্রেস সাংসদ কার্তি চিদাম্বরম রয়েছেন। এছাড়ও আরও অনেক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও দেশের বিশিষ্ট জনেরা রয়েছেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ২৭ জুলাইয়ের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য তালিকা ভুক্তের সিদ্ধান্ত বিরোধীদের জন্য আশার খবর।

সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ

২৭ জুলাই সুপ্রিমকোর্ট জানিয়েছিল, আর্থিক তছরুপ কোনও সাধারণ অপরাধ নয়। বিশ্বব্যাপী আর্থিক তছরুপ ও টাকা পাচার ক্রমেই দেশের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পিএমএলএ আইনে ইডির ক্ষমতাকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক মামলা হয়েছিল। তার বেশিরভাগই ২৭ জুলাই বিচারপতি এএম খানইউলকরের বেঞ্চ খারিজ করে দেয়। কেন্দ্রের তরফে ইডির ক্ষমতা বহাল রাখার পক্ষেই সওয়াল করা হয়। কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, অর্থিক তছরুপ শুধু কোনও অসাধু ব্যক্তি করে না। এরসঙ্গে দেশের নিরাপত্তা জড়িয়ে থাকতে পারে। অনেক সময় আর্থিক তছরুপের অর্থ জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোতে পাচার হয়। যা দেশের নিরাপত্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সেই কারণেই ইডির ক্ষমতা বহার রাখা প্রয়োজন। অর্থ মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে ইডি নয় বছরে ১২২টি তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর গত আট বছরে ৩,০১০টি তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে।

নিয়োগ দুর্নীতির মধ্যেই প্রাথমিকে রদবদল, মানিকদের সরিয়ে ১১ সদস্যের নয়া অ্যাডহক কমিটি নিয়োগ দুর্নীতির মধ্যেই প্রাথমিকে রদবদল, মানিকদের সরিয়ে ১১ সদস্যের নয়া অ্যাডহক কমিটি

More SUPREME COURT News  

Read more about:
English summary
Supreme Court on Monday agreed to list a petition seeking review
Story first published: Tuesday, August 23, 2022, 19:03 [IST]