বিশ্বকাপের নিরাপত্তার জন্য কাতারেসেনাবাহিনী পাঠাতে রাজি পাকিস্তান:
সেই দেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শারিফের কাতার সফরের আগে পাকিস্তানের তথ্য এবং প্রযুক্তি মন্ত্রী মারিয়াম ঔরঙ্গজেব জানিয়েছেন, দোহা এবং ইসলামাবাদের মধ্যে হওয়া চুক্তির ড্রাফটকে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রীসভা। তবে কবে এই চুক্তি চূড়ান্ত হবে তা এখনও জানা যায়নি। কাতারের তরফ থেকেও সরকারী ভাবে এখনও কিছু জানা যায়নি। রয়টার্স কাতারের মিডিয়া অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যের জন্য কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থামির আমন্ত্রণে কাতারে গিয়েছেন শাহবাজ। দু'দিনের সফরে তার সঙ্গে রয়েছে উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। এই সফরে এই বিষয় আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চুক্তি করার উপদেশ দেয় পাকিস্তানের সেনা বাহিনী:
২১ নভেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত কাতারে আয়োজিত হবে এই বারের ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপ। রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, এই সময় নিরাপত্তার জন্য পাকিস্তানের কাছে সাহায্য চায় কাতার। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দুই দেশের মধ্যে এই নিয়ে চুক্তি সাক্ষর করার পরামর্শ দেয়। তবে, নিরাপত্তার জন্য কেন পাকিস্তানের সেনাকে বেছে নিল কাতার বা বিশ্বকাপে নিরাপত্তার বিষয় ঠিক কোন দিক বা কোন কোন দিক পাকিস্তানের সেনা বাহিনী দেখবে তা এখনও পরিষ্কার নয়।
নিশ্চিত নয় সেনাবাহিনীর কতজন সদস্য থাকবেন:
পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর কত জন সদস্য বিশ্বকাপ ২০২২-এর নিরাপত্তার জন্য কাতারে যাবেন তা এখনও পরিষ্কার নয়। চূড়ান্ত চুক্তি সই না হওয়া পর্যন্ত কিছুই জানা যাচ্ছে না। কাতার সফরে দোহার ফুটবল স্টেডিয়ামে যাওয়ার কথা রয়েছে শারিফের। বিশ্বকাপকে অন্য স্তরে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাতারের সরকার কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে সেই বিষয়ে জানানো হবে শারিফকে।
আর্থিক ভাবে লাভবান হবে পাকিস্তান:
স্টেট ব্যাঙ্ক অব পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দ্বি-পাক্ষিক এই চুক্তি বাস্তবায়িত হলে একাধিক সুবিধা পাবে পাকিস্তান। বিশ্বকাপের নিরপত্তার জন্য কাতারে পাকিস্তানের সেনা পাঠানো হলে ২ বিলিয়ন ডলার পাবে চরম আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত দেশটি। শুধু তাই নয়, রিপোর্ট অনুযায়ী, সৌদি আরব থেকে এক বিলিয়ন ডলারের তেল সরবরাহ করা হবে পাকিস্তানকে। সেই সঙ্গে সে দেশে একই পরিমাণ অর্থ লগ্নির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী।