সিপিএমের নতুন করে পথ চলা শুরু
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে ফেলার পর শূন্য থেকে শুরু করতে চেয়েছিল সিপিএম। তারপর কলকাতা ও অন্যান্য পুরসভা নির্বাচন এবং বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে সিপিএম অনেকটাই প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পায়। বিজেপিকে ফেরে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিয়ে সিপিএম উঠে আসে দু-নম্বরে। এই উপনির্বাচন থেকে অক্সিজেন নিয়ে সিপিএমে নতুন করে পথ চলা শুরু হয় বাংলায়।
‘পাহারায় পাবলিকে’র পর ‘নজরে পঞ্চায়েত’
এরপর সিপিএম জোর দেয় জনসংযোগে। সেইমতো 'পাহারায় পাবলিক' কর্মসূচি নেয়। এখন আবার তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে যখন দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হতে শুরু করেছে, তখন সিপিএম নামছে 'নজরে পঞ্চায়েত' অভিযানে। লক্ষ্য পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েতে তৃণমূলের দুর্নীতির পর্দা ফাঁস করা। তৃণমূলকে দুর্নীতি দিয়ে হটিয়েই ফের গ্রামবাংলায় মানুষ মন জয় করে নিতে চাইছে সিপিএম।
তৃণমূলস্তরের নেতাদের দুর্নীতি প্রকাশ করতে
সিপিএম প্রথমে 'পাহারায় পাবলিকে'র মাধ্যমে তৃণমূলের পোড়খাওয়া নেতাদের দুর্নীতি তুলে ধরতে তৎপর হয়েছিল। এবার সিপিএম চাইছে 'নজরে পঞ্চায়েতে'র মাধ্যমে গ্রামবাংলায় তৃণমূলস্তরের নেতাদের দুর্নীতি প্রকাশ করতে। রাজ্যজুড়ে 'চোর ধরো, জেল ভরো' কর্মসূচি চলছে। বিজেপি থেকে শুরু করে কংগ্রেস ও সিপিএমও এই কর্মসূচি পালন করছে। এরই মধ্যে সিপিএম এবার নতুন এই অভিযানে নেমে ফায়দা তুলতে চাইছে।
কোথায় কী বেনিয়ম হয়েছে, কারা দুর্নীতিতে জড়িত
সিপিএম চাইছে তৃণমূলের পঞ্চায়েতের দুর্নীতি প্রকাশ্যে তুলে ধরতে। কোথায় কী বেনিয়ম হয়েছে, কারা দুর্নীতিতে জড়িত, তার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করতে চাইছে সিপিএম। প্রতিটি পঞ্চায়েত শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে টেন্ডার-রাজের অভিযোগ এনেছে সিপিএম। সমস্ত সরকারি কাজে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারেই মুনাফা লুটছে। সেই অভিযোগটাই এতদিন করে আসছিল সিপিএম। এবার সিপিএম সরাসরি পর্দা ফাঁস করতে উদ্যোগী হল।
সিপিএম দেখতে চায় মমতার কথার কত দাম!
সিপিএম চাইছে ২০২৩-এর পঞ্চায়েতে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করতে। সেইমতো সিপিএম নেতৃত্ব তৃণমূলের দুর্নীতি সামনে আনতে তৎপর। সিপিএমের কথায়, তৃণমূল যে কাটমানি খাচ্ছে, সেই অভিযোগগুলি আমরা একত্র করব এবং প্রশাসনের শীর্ষস্তরে পর্যন্ত এগুলি পৌঁছে দেব। আমরা দেখতে চাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কথার কত দাম। তিনি কতজনের বিরুদ্ধে এফআইআর করেন। কতজনকে জেলে ঢোকান। সেইসঙ্গে সিপিএম চাইছে তাদের হারানো ভোটব্যাঙ্কে কি প্রভাব পড়ে।