বীরভূমের কুবের কেষ্ট
গরুপাচারের টাকায় কার্যত বীরভূমের ধনকুবেরে পরিণত হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। িনরাপদে করিডরে যাতে গরুপাচার হয় তার জন্য মোটা টাকা কমিশন দেওয়া হত। সেই টাকা দিয়ে বিপুল সম্পত্তি তৈরি করেছিলেন কেষ্ট।
শুধু িনজের নামে নয় একাধিক বেনামি সম্পত্তি তৈরি করেছেন তিনি। মেয়ে-স্ত্রী, আত্মীয়-পরিজন থেকে শুরু করে বাড়ির কাজের লোকেেদর নামে একাধিক সম্পত্তি তৈরি করেছিলেন তিনি। রাইসমিল থেকে শুরু করে পাথর ক্র্যাশার, জমি, বাড়ি একাধিক সম্পত্তি রয়েছে কেষ্টর। এই বিপুল সম্পত্তির হিসেব পেতে নাজেহাল অবস্থা সিবিআইয়ের।
স্ক্যানারে ১৮টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট
অনুব্রত মণ্ডলের সম্পত্তির হদিশ পেতে ১৮টি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নজরে রয়েছে সিবিআইয়ের। সেই সব অ্যাকাউন্ট থেকে আর্থিক লেনদেন হত বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সব ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্সের তথ্য জানতে ৭টি সরকারি এবং বেসরকারি ব্যাঙ্ককে চিঠি দিয়েছে সিবিআই। তাঁদের কাছে সেই সব ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চেয়েছেন তদন্তকারীরা। কোথা থেকে এই অ্যাকাাউন্ট গুলিতে আর্থিক লেনদেন হত তা জানতে তৎপর সিবিআই।
শিবশঙ্ভু রাইস মিলে সিবিআই হানা
বর্ধমােনর ভোলে ব্যোম রাইসমিলের পর বোলপুরের শিবশম্ভু রাইসমিলে তল্লাশি শুরু করেছে সিবিআই। সোমবার সকাল থেকে চলছে তল্লাশি। রাইসমিলটি কেষ্টর ভাগ্নে রাজা ঘোষের নামে রয়েছে বলে জনা গিয়েছে। আবার নথিতে অনুব্রত মণ্ডলের ভগ্নিপতির নাম রয়েছে। এই রাইস মিলে অনুব্রত মণ্ডলের টাকা খাটানো হত বলে মনে করা হচ্ছে। কমলকান্তি ঘোষ ভগ্নিপতি অনুব্রত মণ্ডলের। তিিন দাবি করেছেন কীভাবে তাঁর নামে এই রাইস মিল হল তা তিনি জানেন না।
অস্বীকার রাজা ঘোষের
শিব শম্ভু রাইস মিলের সঙ্গে কোনো যোগ নেই। এমনই দাবি করেছে অনুব্রত মণ্ডলের ভাগ্নে রাজা ঘোষ। তিিন যদিও দাবি করেছেন বাবার নামে কোনও রাইস মিল রয়েছে কিনা সেটা তাঁর জানা নেই। তিনি ২ বছর ধরে বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। অর্থাৎ বাবার সঙ্গে সম্পর্ক নেই। এই নিেয় চরম জটিলতা তৈরি হয়েছে। সকলেই রাইস মিলের মালিকানার দায় এড়িয়ে গিয়েছেন।