প্রেমিকের সঙ্গে জোট বেঁধে মারতে গিয়েছিলেন স্বামীকে। কিন্তু হল হিতে বিপরীত। ভারাটে খুনিদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে ফেললেন স্বামী। আর স্ত্রীয়ের কাছে গেল টমেটো সস মাখানো দেহের ছবি। সঙ্গে ধরাও পরে গেলেন মহিলা। অদ্ভুত এই ঘটনা ঘটেছে বেঙ্গালুরুতে।
বেঙ্গালুরুতে এক মহিলাকে তার স্বামীর হত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে ওই মহিলার অন্য পুরুষের সাথে সম্পর্কে ছিল। পুলিশকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই মহিলার মা এবং তিনজন পুরুষকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে যাদের তিনি কাজটি করার জন্য ভাড়া করেছিলেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৬ বছর বয়সী মহিলার নাম অনুপল্লবী। তাঁর নবীন কুমারের সাথে বিয়ে হয়েছিল এবং তাঁরা পিনিয়ার কাছে দোদাবিদারকাল্লুতে থাকতেন। সেখানেই তাঁর স্বামীকে খুনের ষড়যন্ত্র করেন বলে অভিযোগ। উল্টে পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
হিমবন্ত কুমার হল সেই ব্যক্তি যার সঙ্গে অনুপল্লভী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জড়িয়ে পড়েছিলেন। ওই ব্যক্তিও এই ঘটনায় অন্যতম ষড়যন্ত্রকারী ছিল এবং দুজনে মিলে ক্যাব চালক নবীন কুমারকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছিলেন। তারা এই কাজের জন্য তিনজনকে নিয়োগ করেছিল। জানা গিয়েছে তাদের নাম হরিশ, নাগারাজু এবং মুগিলান। এই ভাড়াটে খুনিদের ২ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। তিনজনকে অগ্রিম ৯০ হাজার টাকা দেওয়া হয়, বাকি টাকা কুমারকে হত্যার পর দেওয়ার কথা ছিল।
২৩ জুলাই, হরিশ এবং তার দুই সহযোগী নবীন কুমারকে অপহরণ করে তামিলনাড়ুতে নিয়ে যায়। তবে তারা সাহস সঞ্চয় করতে পারেনি এবং কুমারের সাথে বন্ধুত্ব করে নেয়। যখন অনুপল্লবী এবং হিমাবন্ত কুমার তাদের কাজটি করা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য ডেকেছিলেন, তখন অভিযুক্তরা নবীন কুমারের শরীরে টমেটো কেচাপ ঢেলে দেয়, ছবি তোলে এবং দুজনের কাছে পাঠায় বলে রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে।
ছবিগুলো দেখার পর হিমাবন্ত কুমার ভয় পেয়ে যান এবং আত্মহত্যা করে মারা যান, পুলিশের রিপোর্টে বলা হয়েছে এমনটাই। নবীন কুমারের বোন ২ অগাস্ট পুলিশের কাছে একটি নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কিন্তু তিনি ৬ অগাস্ট নিজে ফিরে আসেন এবং পুলিশের কাছে ঘটনার পুরো ঘটনা ক্রম বর্ণনা করেন। পুলিশ যখন অনুপল্লবী এবং হিমাবন্ত কুমারের ফোন চেক করে, তারা দেখতে পায় যে তার মা আম্মোজাম্মাও জড়িত ছিলেন এবং ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করে।