রীতিমত নড়িয়ে দিয়েছে বিজেপিকে
দিলীপ ঘোষের মন্তব্য রীতিমত নড়িয়ে দিয়েছে বিজেপিকে। সিবিআই সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'পার্সোনেল' (কর্মিবর্গ) মন্ত্রকের আওতাভুক্ত। আর সেই তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন। যা রীতিমত বিজেপি কিংবা কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলার শামিল। আর এরপরেই দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের ভিডিও দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব তলব করেছে বলে বিজেপি সূত্রে জানা যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, দিলীপ ঘোষ ঠিক কি বলতে চেয়েছে তা হিন্দি এবং ইংরেজিতে অনুবাদ করে পাঠাতেও বলা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
মন্তব্যে ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব
অমিত শাহ তো বটেই, কেন্দ্রীয় নেতার এহেন মন্তব্যে ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তা কার্যত স্পষ্ট। আর তাই দিলীপের এহেন মন্তব্যের পরেই তড়িঘড়ি রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। অমিত শাহ এই রিপোর্ট চেয়েছেন বলেই খবর। এমনকি আলাদা ভাবে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে এই বিষয়ে রিপোর্ট দিতে বলেছেন জেপি নাড্ডাও। সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষও এই বিষয়টিকে ভালো ভাবে নেননি। আর তাই তিনিও রাজ্য নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন বলেই খবর।
একাধিকবার দিলীপ ঘোষকে সতর্ক করেছে দল
তবে এই বিষয়ে দিলীপ ঘোষ কিছু জানেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। বলে রাখা প্রয়োজনম এর আগে একাধিকবার দিলীপ ঘোষকে সতর্ক করেছে দল। এমনকি সেন্সার পর্যন্ত করা হয়েছে। কিন্তু এরপরেই কার্যত দিলীপ ঘোষকে আটকানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে এই রিপোর্ট পাওয়ার পরে দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বড় কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয় কিনা সেদিকেই নজর। তবে বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বও ভালো ভাবে নেয়নি। তবে দিলীপ ঘোষ তাঁর বক্তব্যে অনড় বলেই জানা যাচ্ছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এহেন মন্তব্য কেন সেই ব্যাখ্যা অবশ্য দিয়েছেন দিলীপ ঘোষ?
ঠিক কি বলেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি?
সরাসরি সিবিআইয়ের সঙ্গে আঁতাতের অভিযোগ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর দাবি, রাজ্য শাসকদলের সঙ্গে সিবিআইয়ের সেটিং হয়েছে। আর তা ধরা পড়ে গিয়েছে। আর এরপরেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক ইডিকে তদন্ত করতে পাঠিয়েছে বলে দাবি বিজেপি নেতার। শুধু তাই নয়, সিবিআই কার তাতে কিছু যায় আসে না বলেও দাবি তাঁর। ন্যায় পাইনি বলেই এহেন মন্তব্য বলে দাবি দিলীপ ঘোষের। এমনকি কুকুরের সঙ্গেও সিবিআইকে তুলনা। আর এহেন মন্তব্য ঘিরেই যাবতীয় বিতর্ক বলে জানা যাচ্ছে।