বিহারে ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি
বিহারে নীতীশ কুমারের বিজেপির সঙ্গ ছাড়াকে গেরুয়া শিবিরের পক্ষে ধাক্কা বলে উল্লেখ করেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ। তিনি বলেছেন, সারা দেশে ৪ জন যুবকের একজন কর্মহীন। এই সংখ্যাটা অনেকটাই বড় বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, গত ৫-৬ বছরে দেশের জিডিপিযেমন কমেছে ঠিক তেমনই কমেছে টাকার দামও। এইসবের উত্তর মোদীকে দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
মোদীর প্যাকেজের মোকাবিলায় প্যাকেজ দরকার
তৃণমূল সাংসদ বলেছেন মোদীর প্যাকেজের মোকাবিলায় প্যাকেজের দরকার। তিনি ২ ঘন্টার নোটিসে নোট বাতিলের কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু যে যে কারণে তিনি তা করেছিলেন, তার কোনওটিই হয়নি। কালো টাকা দূর হয়নি অন্যদিকে জঙ্গিদের প্রভাবও কমেনি। ডেরেক বলেছেন, ২০১৪-র ভোটে
প্রধানমন্ত্রী মোদী আশা বিক্রি করেছিলেন। আর ২০১৯-এর ভোটে তিনি স্বপ্ন বিক্রি করেছিলেন। তবে তিনি মনে করেন, ২০২৪-এর নির্বাচনে মোদীকে ক্ষমতা থেকে সরানো সম্ভব। তিনি বলেছেন, সংসদে মোদীকে ডিফেন্সিভ মোডে দেখা গিয়েছে।
২০২৪-এর ভোটে বিরোধীদের স্ট্র্যাটেজি
২০২৪-এর ভোটে মোদীকে যদি হারাতে হয়, তাহলে বিরোধীদের স্ট্র্যাটেজি কী হবে, এই প্রশ্নের উত্তরে ডেরেক বলেছেন, তিনি মনে করেন না নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তি মোদীকে হারাতে পারেন। ফেডারেল সিস্টেমে বিভিন্ন রাজ্যে শক্তিশালী নেতারা রয়েছেন। এব্যাপারে তিনি পশ্চিমবঙ্গে নিজের দলের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা উল্লেখ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই পশ্চিমবঙ্গে মোদীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেবেন বলে জানিয়েছেন। সেরমকই তামিলনাড়ু এবং তেলেঙ্গানাতেও শক্তিশালী বিরোধী নেতারা রয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন তৃণমূল সাংসদ।
|
রাজ্যের সমস্টিতে ২০২৪-এর নির্বাচন
রাজ্যের সমস্টিতে ২০২৪-এর নির্বাচন বলে মন্তব্য করেছেন ডেরেক ও'ব্র্যায়েন। তিনি বলেছেন, মোদীকে তাঁর প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে হবে। অন্যদিকে দেশের গণতন্ত্রিক কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়ছে। তিনি বলেছেন, যদি মোদীর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট কাউকে তুলে ধরা হয়, তাহলে মোদী অ্যাডভান্টেজ পাবেন। তিনি বলেছেন, দেশের সংখ্যালঘুরা সমস্যার মধ্যে রয়েছেন। সাংবদ মাধ্যমও তাদের কাজ করতে পারছে না। বিরোধীদের কণ্ঠ বন্ধ করতে ইডি, আয়কর দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। তবে তার মধ্যে থেকেই তিনি আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ডেরেক।