সুপ্রিম কোর্টে আবেদন বাইচুং:
সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসক কমিটির তৈরি করা সংবিধানের খসড়াকে মান্যতা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ভারতীয় ফুটবলের আইকন বাইচুং ভুটিয়া একটি পিটিশন দাখিল করে হস্তক্ষেপের আবেদন জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের কাছে। পিটিশনে বাইচুং বলেছেন, "সংবিধানের এই খসরাটি বহু দশক মুষ্টমেয় কিছু খেলোয়াড় এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের আধিপত্য থেকে মুক্ত রাখবে (এআইএফএফকে)। তাই সুপ্রিম কোর্টের উচিৎ ৩ অগস্ট তার দেওয়া রায়কে কার্যকরী করা।"
এআইএফএফ-এর সভাপতি পদে মনোনয়ন বাতিল হতে পারে বাইচুং-এর:
ফিফা 'তৃতীয় পক্ষ' 'অজুহাত' দেখিয়ে ভারতীয় ফুটবলকে নির্বাসিত করায় শেষ পর্যন্ত নিজের তৈরি প্রশাসক কমিটিকে ক্ষমতাচ্যূত করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে যদি সিওএ-এর তৈরি খসড়া সংবিধাকে মান্যতা না দেওয়া হয় এবং এআইএফএফ-এর আদি সময় থেকে চলে আসা নিয়মকে মান্যতা দেওয়া হয় তা হলে ভারতীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থার সভাপতি পদে বাইচুং-এর লড়াই করা মুশকিল হয়ে যাবে। এআইএফএফ-এর এখনকার নিয়মে সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দিতে হলে তা কোনও রাজ্য সংস্থার প্রতিনিধি হিসাবে দিতে হবে। প্রাক্তন ফুটবলার হিসাবে দেওয়া যাবে না। ফলে খসড়া সংবিধান মান্যতা না পেলে ভাইচুংয়ের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যেতে পারে।
ফিফার একনায়কতন্ত্রে অসন্তুষ্ট বাইচুং:
পাহাড়ি বিছে বলেছেন, "ফিফা-র নিয়মে আমাদের মতো প্লেয়ারদের প্রশাসনের অংশ হওয়ার কোনও সুযোগই থাকবে না। আমি শুধু নিজে সভাপতি হতে চাই বলেই এই পিটিশন কিন্তু দাখিল করিনি। ফিফা মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে সব মেনে নিতে বলছে। ফিফা দেশের সর্বোচ্চ আদালতকে ন্যূনতম সম্মানটুকু জানাতে পারে। যা তারা করছে না।"
ভারতীয় ফুটবলের উপর ফিফার নির্বাসনের খাড়া:
১৬ অগস্ট ফিফার তরফ থেকে ভারতীয় সময়ে রাত ২:০৮ মিনিটে একটি চিঠি পাঠিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয় নির্বাসিত করা হয়েছে ভারতীয় ফুটবলকে। ভারতীয় ফুটবলের নির্বাসনের কারণ হিসেবে ফিফা উল্লেখ করেছিল তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ। এই একই কারণ দেখিয়ে অতীতে নাইজেরিয়া, চাদের মতো ফুটবল সংস্থাগুলিকে নির্বাসিত করেছে ফিফা। ২০১৭ এবং ২০২১ সালে একই কারণে তারা নির্বাসিত করে পাকিস্তানের ফুটবল ফেডারেশনকে।