তিন বছর ধরে সভাপতি খুঁজে পায়নি কংগ্রেস
রাহুল এখন চাইছেন দলের নেতৃত্ব নতুন কারও হাতে অর্পণ করতে। এই পরিবর্তই কামব্যাকের নতুন পথের সন্ধান দিতে পারে। তাই রাহুল গান্ধী তিন বছর আগে থেকেই বলে আসছেন অ-গান্ধী কাউকে কংগ্রেস সভাপতি করতে। কিন্তু তিন বছর ধরে কোনও সভাপতি খুঁজে পায়নি নেতৃত্ব। বাধ্য হয়ে সোনিয়া গান্ধীই অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
রাহুল গান্ধী চান অ-গান্ধীকে সভাপতির দায়িত্বে
এবার কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন যখন আসন্ন, তখনও রাহুল গান্ধী এই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নারাজ। সূত্রের খবর, কংগ্রেস অ-গান্ধী কাউকে এবার নির্বাচিত করতে পারে দলের সভাপতি হিসেবে। কংগ্রেস ২০ অগাস্ট পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। রাহুল গান্ধী এখনও অনড় অ-গান্ধীকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়ার ব্যাপারে। এমনকী তিনি চান না তাঁর বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও মনোনয়ন দাখিল করেন সভাপতির পদে।
সোনিয়ার জায়গায় রাহুল ছিলেন অটোমেটিক চয়েস
সোনিয়া গান্ধী চান না তাঁর স্বাস্থ্যজনিত সমস্যার মধ্যেও এই পদে থাকতে। কারণ তিনি তাঁর শারীরিক সমস্যার কারণে দলকে সেভাবে নেতৃত্ব দিতে পারছেন না। সোনিয়া গান্ধীর জায়গায় রাহুল গান্ধী ছিলেন অটোমেটিক চয়েস। কিন্তু তিনি চান না এই পদে পুনরায় বসতে। তিনি চান, অ-গান্ধী কেউ হন কংগ্রেসের সভাপতি। তাঁর বিচারে সেটা হলেই ভালো হবে কংগ্রেসের।
কংগ্রেসের ওই হট-সিটে এবার কে, জল্পনা তুঙ্গে
কেন্দ্রীয় কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের অপেক্ষা। তারপরই সভাপতি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়ে যাবে। এবং কর্তৃপক্ষ তা জানিয়ে দেবে। সূত্র জানিয়েছে, প্রক্রিয়াটি আটকে আছে রাহুল গান্ধীর কারণেই। কারণ তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ইচ্ছুক নন। যদিও তাঁকে বোঝানোর প্রচেষ্টা এখনও চলে যাচ্ছে। প্রায় সমস্ত প্রচেষ্টার পরও তিনি রাজি নন কংগ্রেসের ওই হট-সিটে বসতে।
কংগ্রেসে নতুন জোয়ার আনতে চান রাহুল গান্ধী
কংগ্রেসের একটা বড় অংশ চাইছে, রাহুল গান্ধী কংগ্রেসের সভাপতি হন। তাঁদের দ্বিতীয় বিকল্প হিসেবে উঠে এসেছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর নাম। কিন্তু দুটি ক্ষেত্রেই রাহুল গান্ধী রাজি নন। এই অবস্থায় আর একটি বিকল্প হল দলীয় ঐক্যের স্বার্থে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সোনিয়া গান্ধীই এই দায়িত্বে থাকুন। কিন্তু তাতে কংগ্রেসে নতুন জোয়ার আসবে না বলে মনে করছে নেতৃত্বের একাংশ।
আগে কারও নামে একমত হতে চাইছে কংগ্রেস
এই অবস্থায় দল আগে সহমত হওয়ার চেষ্টা করছে একটা নাম। অশোক গেহলট, মল্লিকার্জুন খাড়গে, কেসি বেণুগোপাল, কুমারী শৈলজা বা মুকুল ওয়াজনিকের মধ্যে কারও নামে একমত হতে পারে কংগ্রেস। তারপরই তাঁরা নির্বাচনের রাস্তায় হাঁটবে। বিকল্প একটি নামে সহমত না হওয়া পর্যন্ত কংগ্রেস নির্বাচনের সাহসও করছে না।
‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র আগে কংগ্রেসে নয়া সভাপতি
এদিকে 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র পরিকল্পনা করেছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ৭ সেপ্টেম্বর কন্যাকুমারী থেকে শুরু হবে 'ভারত জোড়ো যাত্রা'। ১৪৮ দিনের পদযাত্রা শেষ হবে কাশ্মীরে। পাঁচ মাস ব্যাপী এই 'ভারত জোড়ো যাত্রা'য় ৩৫০০ কিলোমিটার অতিক্রম করবেন কংগ্রেস নেতা-নেত্রীরা। ১২টিরও বেশি রাজ্যকে কভার করবে এই অভিযান। প্রতিদিন ২৫ কিলোমিটার অতিক্রম করবে এই 'ভারত জোড়ো যাত্রা'। এই 'ভারত জোড়ো যাত্রা'য় পদযাত্রা, সমাবেশ ও জনসভা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে সেখানে সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-সহ কংগ্রেসের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত থাকবেন। এখন দেখার 'ভারত জোড়ো যাত্রা'র আগে কংগ্রেস নতুন সভাপতি পায় কি না।