দেশে করোনা পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। কমেছে দৈনিক মৃত্যুর হার। তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ল জীবনবিমার ক্ষেত্রেও। গত দুই বছরে করোনা গ্রাফ যখন ঊর্ধ্বমুখী ছিল, তখন ডেথ ক্লেমের পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল অনেকটাই। যদিও চলতি অর্থবর্ষের ত্রৈমাসিক রিপোর্টে স্বস্তি ফিরেছে এলআইসি আধিকারিকদের।
চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিক চিত্রে দেখা যাচ্ছে, ডেথ ক্লেমের সংখ্যা গত বছরের একই সময়কালের নিরিখে কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ। যদিও তা ২০২০ সালের আগের পরিস্থিতির তুলনায় এখনও অনেকটাই বেশি। গত অর্থবর্ষে প্রথম ত্রৈমাসিকে যেখানে ডেথ ক্লেম সেটলমেন্টে ৭,১১১ কোটি টাকা এলআইসির ঘর থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল, এবার সেটা কমে দাঁড়িয়েছে ৫,৭৪৩ কোটি টাকায়। এই তথ্য জানিয়েছেন এলআইসির চেয়ারম্যান এম আর কুমার। দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার ফলেই এমনটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এলআইসির এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর দীনেশ পন্থ জানিয়েছেন, করোনা অতিমারীর আগে ক্লেম রেটে স্থিতাবস্থা ছিল। যদিও করোনা সংক্রমণ বাড়ার ফলে গত দুই বছরে সেই ক্লেম রেট অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখ অবধি যে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক রয়েছে তাতে ক্লেম রেট আরও কমে অনেকটাই স্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে আশাবাদী তিনি। তবে পরিস্থিতি ২০২০-র আগের পরিস্থিতির মতো পর্যায়ে যেতে আরও কিছুটা সময় লাগবে বলে মনে করছে এলআইসি। অনেক ক্ষেত্রে দেরিতে ঘটনা জানানোর বিষয়টিও থাকে।
এলআইসি কর্তারা আশাবাদী, করোনা পরিস্থিতির যেভাবে উন্নতি হচ্ছে তাতে বছরখানেকের মধ্যে ক্লেম রেট কোভিড-পূর্ববর্তী সময়ের জায়গায় পৌঁছে যেতে পারে। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে এলআইসির লাভ বেড়ে ৬৮২.৮৮ কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। ব্যাক অব রেকর্ড প্রিমিয়াম ইনকামে গত বছর এই সময়কালে লাভের পরিমাণ ছিল ২.৯৪ কোটি টাকা।