কিনমেন দ্বীপের উপকূলে চিনা জাহাজ
সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, কিনমেন দ্বীপের উত্তরে চিনের যে জাহাজগুলো ভিড়েছে, সেখানে চিনা নৌবাহিনীর কোনও পতাকা উড়ছিল না। তবে জাহাজগুলোতে চিনা নৌবাহিনীর সদস্যরা ছিলেন কি না, সেই বিষয়ে কোনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি তাইওয়ান সেনাবাহিনী দ্বীপের উপকূলে ওয়াচ পোস্ট ও ব্যাঙ্কার গঠন করেছে। চিনের সমস্ত কর্যকলাপের ওপর তাইওয়ানের সামরিক বাহিনী নজর রাখছে বলে সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে। তাইওয়ানের সামরিক বাহিনীর দাবি, ওই বাণিজ্যিক জাহাজগুলো আদতে পরিচালনা করছে চিনের নৌবাহিনী। তবে চিনের তরফ থেকে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। এই দ্বীপটি ফরমোসা দ্বীপ নামে পরিচিত। দ্বীপটির মালিকানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চিনের সঙ্গে তাইওয়ানের লড়াই চলছে। যদিও তিন তাইওয়ানকে অখণ্ড চিনের সঙ্গে যুক্ত করতে চায়।
চিন ও তাইওয়ানের সংঘর্ষ
ফারমোসা দ্বীপটির নিয়ে চিনের সঙ্গে তাইওয়ানের দীর্ঘদিনের তিক্ততার সম্পর্ক। তাইওয়ান ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার ফারমোসা দ্বীপটিকে কেন্দ্র করে চিনের সঙ্গে তিক্ত সংঘর্ষে জড়িয়েছে। এই দ্বীপটিকে কেন্দ্র করে ২০২১ সালের ১ অক্টোবর উত্তেজনা চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। সেই সময় চিন তাইওয়ানকে চাপে রাখতে তাদের প্রতিরক্ষা কেন্দ্রে ১০০টির বেশি যুদ্ধ বিমান উড়িয়েছিল। এভাবেই চিন নাকি তাদের প্রজাতন্ত্রের ৭২ তম বর্ষ উদযাপন করেছিল। চিন তাইওয়ানকে চাপে রাখতেই প্রায়শই তাদের আকাশ সীমায় ঢুকে পড়ে। এবং যুদ্ধ বিমান ওড়ায়।
ন্যান্সি পেলোসির সফর ঘিরে উত্তেজনা
সম্প্রতি মার্কিন কংগ্রেসের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। চিন বার বার পেলোসির তাইওয়ান সফর করে আমেরিকাকে সাবধান করেছে। হুমকির সুরে বলেছে, এই সফরের পরিণাম আমেরিকাকে ভুগতে হবে। সে কথাকে গুরুত্ব না দিয়েই পেলোসি তাইওয়ান সফর করে। পেলোসির তাইওয়ান সফরের পরেই তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায় চিন। তাইওয়ানের সীমান্ত ঘেঁষে ব্যাপক সমরিক মহড়া চালায় চিন। ২৬টির বেশি যুদ্ধ বিমান তাইওয়ানেক আকাশ সীমান্ত অতিক্রম করে। চিনের একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র তাইওয়ানের ওপর দিয়ে যায়। তাইওয়ান প্রণালী বন্ধ করে রাখে চিন। অন্যদিকে, তাইওয়ানের উপকূলে চারটি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ নোঙর করে। যারমধ্যে দুটো জাহাজ যুদ্ধ বিমান পরিবহনে সক্ষম।
চিনের দাবি অস্বীকার তাইওয়ান
চিন প্রথম থেকে তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করছে। অন্য কোনও দেশের সঙ্গে তাইওয়ানের কূটনৈতিক সম্পর্ক মোটেই ভালোভাবে মেনে নেয় না। চিনের তরফে দাবি করা হয়, তাইওয়ান প্রথম থেকেই চিনের অংশ ছিল। অন্যদিকে, তাইওয়ান স্পষ্টভাবে চিনের দাবি অস্বীকার করেছে। তাইওয়ান জানিয়েছে, তাদের কখনই চিন শাসন করেনি। অন্যদিকে, বিশ্বের ১৩টির বেশি দেশ তাইওয়ানকে স্বতন্ত্র দেশের স্বীকৃতি দিয়েছে।