অনুব্রতকে নিয়ে চিন্তায় সুকান্ত
বীরভূমের দোরদণ্ড প্রতাপ টিএমসি সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এখন সিবিআই হেফাজতে। তাঁক বিপুদ্ধে একাধিক নথি পেয়েছে সিবিআই। কিন্তু জেরায় এখনো মুখ খোলেননি অনুব্রত। তবে তাঁর শরীর যে ভাল নেই কথা স্পষ্ট জানিয়েছেন। একাধিক সমস্যা তৈরি হয়েছে তাঁর শরীরে। এই িনয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পর তিনিই প্রথম নকুলদানা বিলির কথা বলেছিলেন বিজেপিকর্মী সমর্থকদের।
কী বললেন সুকান্ত
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এদিন বলেছেন,অনুব্রত মণ্ডলের শরীরের দিকে নজর দেওয়া উচিত৷ কারণ তাঁর বহু নাম বলা বাকি আছে৷ সেই সঙ্গে কেষ্টকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সুকান্ত। অনুব্রতকে কটাক্ষ করে বলেছেন,'১১০ কেজি ওজন দু'বেলা ভাত খাবেন। অসুস্থ হবেন হবেন না তো কি হবে৷ শরীরের দিকে নজর দেওয়া উচিত৷ কারণ তাঁর বহু নাম বলা বাকি আছে৷ এখন মরে গেলে আমাদের বিপদ হয়ে যাবে৷ সবার নাম বলুন। উনি ভালো থাকুন এবং দীর্ঘজীবী হোন।'
একাধিক সম্পত্তির খোঁজ
অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করে তাঁর একাধিক সম্পত্তির খোঁজ মিলেছে। বোলপুরে ফার্ম হাউস রয়েছে অনুব্রতর নামে।মেয়ের নামে একাধিক সম্পত্তি রয়েছে। এমনকী বর্ধমানের রাইস মিলে তল্লাশি চালিয়ে সিবিআই একাধিক গাড়ি উদ্ধার করেছে। সেই গাড়ির মাধ্যমে টাকা পাচার হত কিনা তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। গাড়ি গুলি কার নামে কেনা এবং কে দিয়েছিল সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সেই রাইসমিলের ডিরেক্টর বলে জানা গিয়েছে।
সুকান্তর বিস্ফোরক অভিযোগ
গোরু পাচার নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, 'ফলস কাগজপত্র তৈরি করে উত্তরপ্রদেশ, বিহার সরকারের চোখে ধুলো দিয়ে বীরভূমের ইলামবাজারের হাটে গোরু নিয়ে আসা হত। সেই গোরু মালদা, মুর্শিদাবাদ দিয়ে চালান করে দেওয়া হত৷ একসময় কেন্দ্রে যখন কংগ্রেস সরকার ছিল তখন ভলভো বাসে করে তা পাচার করে দেওয়া হত বাংলাদেশে। নরেন্দ্র মোদি সরকার আসার পর আমরা পাচার বন্ধ করে দিয়েছি। এখনও বহু জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া তৈরি করতে দেয়নি কারণ জমি তারা দেয়নি। কারণ তারা জানে কাঁটাতারের বেড়া যদি তৈরি হয়ে যায়, তাহলে কেস্টদের আর গোরু পাচার করা হবে না।'