কাশ্মীর সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব
পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, হাভার্ডের পড়ুয়াদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে একাধিক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, 'পাকিস্তান কাশ্মীরে শান্তি বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি সমাধান রাষ্ট্রসংঘের প্রস্তাব অনুযায়ী কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের সঙ্গে যুক্ত। আমরা ভারতের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কাশ্মীরে স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করছি। যুদ্ধ কোনও দেশের জন্যই বিকল্প পথ হতে পারে না।' কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে। কাশ্মীরের সন্ত্রাস বাদে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ইন্ধন জোগাচ্ছে বলে বার বার ভারত অভিযোগ করেছে। ভারত প্রথম থেকে দাবি করেছে, জম্মু ও কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এবং থাকবে। হিংসা ও শত্রুতা ছাড়া পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত বন্ধুত্বের সম্পর্ক চায় বলেও নয়াদিল্লি আগেই জানিয়েছিল।
বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতায় আগ্রহী পাকিস্তান
ভারত সম্পর্কে পাক প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন, নয়াদিল্লির সঙ্গে ইসলামাবাদের বাণিজ্য, অর্থনীতি, নগরিকদের জীবনযাত্রার মানের উন্নতির প্রতিযোগিতা থাকা প্রয়োজন। তিনি দাবি করেন, পাকিস্তান কোনওদিন আগ্রাসী ছিল না। পাকিস্তানের পারমাণবিক শক্তি, প্রশিক্ষিত সেনাবাহিনী শুধু সীমান্ত রক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়। কোনও দেশকে আক্রমণ করার জন্য নয়। পাশাপাশি তিনি জানান, ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক গঠনের ক্ষেত্রে তাঁরা আগ্রহী। পাকিস্তান সীমান্ত সুরক্ষার ওপর জোর দেয়। অন্য দেশে হামলার বিষয়ে পাকিস্তানের কোনও আগ্রহ নেই।
আর্থিক সঙ্কটে পাকিস্তান
পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ কার্যত স্বীকার করে নেন, পাকিস্তান বর্তমানে অর্থিক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সাম্প্রতিক কয়েক দশক ধরে দেশের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। যার জেরে পরিকাঠামোগত সমস্যা তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি দেশে আর্থিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। পাকিস্তানের জন্মের প্রথম কয়েক দশক দেশের অর্থিক বৃদ্ধি ছিল চোখে পড়ার মতো। সেই সময় দেশের আর্থিক বৃদ্ধি নিয়ে পরিকল্পনা, জাতীয় ইচ্ছা ও বাস্তবায়নের জেরে পাকিস্তানের অর্থনীতি একটি উচ্চতায় পৌঁছয়। বর্তমানে লক্ষ্য, শক্তি ও নীতিগত পদক্ষেপের অভাবে দেশের উৎপাদশীলতা কমতে শুরু করেছে। তিনি জানিয়েছে, দেশে নগদের আকা দেখতে পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি ও নিম্নমুখী বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পাকিস্তানের আর্থিক সঙ্কট আরও তীব্র করে দিয়েছে।