কেন্দ্রের উপনিবেশের মতো ব্যবহার করে
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তামিলনাড়ুর অর্থমন্ত্রী পালানিভেল থিরাগারাজন বলেন, কেন্দ্র এমন ব্যবহার করছে, রাজ্যগুলো যেন তার উপনিবেশ। তিনি বলেন, 'দিল্লি সমস্ত রাজ্যগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। কেন্দ্র মনে করছে, রাজ্যগুলোর নিজের কোনও সিদ্ধান্ত থাকতে পারে না। যে কোনও সিদ্ধান্ত একমাত্র কেন্দ্র নিতে পারে। রাজ্য সরকারগুলো সেই সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র বাস্তবায়িত করার জন্য রয়েছে। কেন্দ্র আমাদের কাছ থেকেই অর্থ নেয়। আবার আমাদেরকেই বলে কীভাবে থাকতে হবে। আমি জানি না, এটাকে ঔপনিবেশিক মানসিকতা ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে। কেন্দ্র রাজ্যের সমস্ত অর্থ নিজের নিয়ন্ত্রণে আনতে চায়। কেন্দ্র চায়, প্রতিক্ষেত্রে রাজ্যগুলো তাদের ওপর নির্ভর করুক। রাজ্যের নিজস্ব কোনও নীতি থাকুক, তা কেন্দ্র কখনই চায় না। রাজ্যের প্রতিক্ষেত্রে কেন্দ্রের নাক গলানো একটা স্বভাব হয়ে গিয়েছে।'
ফ্রিবি নিয়ে বিস্ফোরক অর্থমন্ত্রী
দুই দিন আগে তামিলনাড়ুর অর্থমন্ত্রী ফ্রিবি নিয়ে কেন্দ্রকে একহাত নিয়েছিলেন। কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, রাজ্যগুলোর বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার প্রবণতা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। এরফলে রাজ্যগুলো আর্থিক সঙ্কটের মুখে পড়তে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন পালানিভেল থিরাগারাজন। তিনি বলেন, 'অর্থনীতির দিক থেকেই তামিলনাড়ুর প্যারামিটার কেন্দ্রের থেকে অনেক ভালো। আমরা কেন্দ্রীয় কোষাগারে ব্যাপক অঙ্কের অর্থ জমা করি। তারপরেও আপনারা আমাদের কাছ থেকে কী চান। কিসের ভিত্তিতে রাজ্যের নীতি পরিবর্তন করব' বলেও তিনি প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, যাঁরা ফ্রিবি নিয়ে পরামর্শ দিচ্ছেন, তাঁদের অর্থনীতি নিয়ে বিশেষ কোনও ডিগ্রি নেই, ভারতীয় অর্থনীতিতে ফলপ্রসূ কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। সেক্ষেত্রে তাঁদের কথা শুনব কেন।
আদালতের দ্বারস্থ ডিএমকে
বিনামূল্যে কোনও পরিষেবা দেওয়াকে ফ্রিবি বলা হয়ে থাকে। কেন্দ্রের ফ্রিবি মন্তব্যের বিরোধিতা করে ডিএমকে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। এর আগে কেন্দ্রের বিরোধিতা করে আপ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, এই পরিষেবাগুলো জনকল্যান মূলক। রাজ্যের মানুষের কথা চিন্তা করে বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।