অস্ট্রেলিয়ায় বসছে টি ২০ বিশ্বকাপের আসর। অক্টোবরের ২৩ তারিখ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম ম্যাচ। তার এক মাসেরও বেশি আগে ঘোষণা করা হবে ভারতীয় দল। ইনসাইডস্পোর্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ বেছে নেওয়া হবে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় দল।
এশিয়া কাপ সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে শুরু হচ্ছে চলতি মাসের ২৭ অগাস্ট। তার পরের দিনই ভারতের প্রথম ম্যাচ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। ভারত ও পাকিস্তান রয়েছে একই গ্রুপে। দুই দেশ ফাইনাল উঠলে এশিয়া কাপে তিনটি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সাক্ষী থাকবেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এশিয়া কাপের ফাইনাল হবে ১১ সেপ্টেম্বর। তারপর দল দেশে ফিরলে ১৫ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হবে টি ২০ বিশ্বকাপের দল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সেই দলই অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দেশের মাটিতে তিনটি করে টি ২০ আন্তর্জাতিকে খেলানোর সম্ভাবনা প্রবল।
আইসিসি জানিয়ে দিয়েছে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী সব দেশকেই ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে দল ঘোষণা করতে হবে। প্রতিটি দলে রাখা যাবে ১৫ জন করে ক্রিকেটার। সর্বাধিক ৩০ জনকে নিয়ে বিশ্বকাপ অভিযানে যেতে পারবে সমস্ত দল। ১৫ জন ক্রিকেটার ও আটজন সাপোর্ট স্টাফ রাখা যাবে। বাকি সাতজনকে দলের সঙ্গে রাখার খরচ বহন করতে হবে সংশ্লিষ্ট দেশকে। এই সাতজনের মধ্যে থাকতে পারেন নেট বোলার-সহ ক্রিকেটারদের। করোনা সংক্রান্ত সতর্কতার জন্য প্রতিটি দলে একজন করে চিকিৎসক রাখতেও বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কারণেই একমাত্র ১৫ সদস্যের দলে থাকা ক্রিকেটারদের পরিবর্ত ঠিক করা যাবে। আইসিসির সবুজ সঙ্কেত পেলে তবেই পরিবর্ত ক্রিকেটারকে মূল দলে নেওয়া যাবে। ১৫ সদস্যের দলে থাকা ক্রিকেটাররাই বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন।
ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা সম্প্রতি জানিয়েছেন, দলের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ জায়গা ঠিক হয়ে গিয়েছে। তিন-চারটি পরিবর্তন হতে পারে বিশ্বকাপের দলে। তবে এশিয়া কাপের পারফরম্যান্সই টি ২০ বিশ্বকাপের দল নির্বাচনের ক্ষেত্রে বিচার্য হবে। জসপ্রীত বুমরাহ ও হর্ষল প্যাটেল চোট সারিয়ে বিশ্বকাপের দলে ফিরতে পারেন, নাকি তাঁদের অনুপস্থিতিতে মহম্মদ শামিকে নেওয়া হয় সেটা দেখার। জিম্বাবোয়ে সফরে কামব্য়াক করে আজই প্রথম ব্যাট করতে নেমেছিলেন লোকেশ রাহুল। তবে এক রানে আউট হয়ে গিয়েছেন। এশিয়া কাপের আগে ছন্দে ফেরার আর একটি সুযোগই তিনি পাবেন সোমবার তৃতীয় একদিনের আন্তর্জাতিকে। আবার দীপক চাহার বৃহস্পতিবার ছয় মাস পর জাতীয় দলে কামব্যাক করে ৭ ওভারে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা হন। তাঁকে আজ ভারত খেলায়নি। ফলে প্রশ্ন উঠছে চাহারের ফিটনেস নিয়ে। জিম্বাবোয়ে সফরে ভালো পারফর্ম করলে চাহার এশিয়া কাপের মূল দলে ঢুকতে পারতেন। আপাতত সেখানে তিনি স্ট্যান্ডবাই। এশিয়া কাপ না খেললে চাহারের পক্ষে বিশ্বকাপের দলে থাকা কঠিন হয়ে যেতে পারে।