কী বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী
দুই দিনের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল ২০২২ সম্মেলনের শেষদিনে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানেই তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সাল থেকে ডিজিপিদের বার্ষিক সম্মলনের প্রকৃতি পরিবর্তন করার চেষ্টা করেছেন। এর ফলে আমরা বর্তমানে অনেক সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজে পেয়েছি। যা জাতীয় নিরাপত্তাকে আরও সুস্থির করে। সমস্ত দেশের উচিত জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে সর্বাধিকার দেওয়া। আমাদের প্রত্যেককে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য লড়াই করতে হবে। এই লড়াইয়ে আমাদের যে কোনও মূল্যে জয়ী হতে হবে। এই লড়াইয়ের সঙ্গে আমাদের যুবক সম্প্রদায়ের ভবিষ্যত জড়িয়ে রয়েছে। রাজ্যের পুলিশ মহাপরিচালকদের শাহ বলেন, সীমান্ত রাজ্যগুলোতে ডিজিপিদের সীমান্ত এলাকায় জনসংখ্যা পরিবর্তনের দিকে নজর দিতে হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্বারাষ্ট্র মন্ত্রকের এক আধিকারিক বলেন, সীমান্ত এলাকাগুলোতে প্রযুক্তি ও কৌশলগত সুবিধার বিষয়ে সতর্ক করেছেন অমিত শাহ।
দেশের নিরাপত্তারক্ষীদের প্রশংসা
শুক্রবার অমিত শাহ জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাসবাদ, উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন চরমপন্থী গোষ্ঠী, চরমপন্থী বামদলগুলোর বিরুদ্ধে নিরাপত্তা রক্ষীরা কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিরাপত্তারক্ষীরা সাফল্য পেয়েছেন। অমিত শাহ মাদক প্রসঙ্গে সতর্ক করেন জিডিপিদের। তিনি বলেন, মাদক পাচার শুঘু রুখলেই হবে না। দেশের বুক থেকে মাদক চক্রের নেটওয়ার্ককে সমূলে উপড়ে ফেলতে হবে। এর জন্য মাদক চক্রের একেবারে উৎসে পৌঁছতে হবে। দেশের অনেক মাদকচক্রকে সমূলে উপড়ে ফেলা সম্ভব হয়েছে। সেই ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি ৫জি পরিষেবা নিয়েও মন্তব্য করেন। অমিত শাহ বলেন, দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে ৫ডি পরিষেবাকে ব্যবহার করা যেতে পারে।
জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল ২০২২ সম্মেলন
দুই দিনের জাতীয় নিরাপত্তা কৌশল ২০২২ সম্মেলনে প্রায় ৬০০ জন নিরাপত্তা আধিকারিক অংশগ্রহণ করেছিলেন। এই সম্মেলনে মূলত সন্ত্রাসদমন ও কাউন্টার ব়্যাডিকেলাইজেশন, মাওবাদী ওভারগ্রাউন্ড, ক্রিপ্টো কারেন্সি, কাউন্টার ড্রোন প্রযুক্তি, সোশ্যাল মিডিয়ায় নদরদারি নিয়ে আলোচনা হয়।