কী বললেন বিজেপি বিধায়ক
গোধরায় বিজেপির বর্তমান বিধায়ক সিকে রাউলজি সাংবাদিকদের বলেন, 'দোষীরা কোনও অপরাধ করেছে কি না, তা আমার জানা নেই। তবে তাদের অপরাধ করার কোনও ইচ্ছা ছিল না।' তিনি বলেন, 'তারা ব্রাহ্মণ। আর ব্রাহ্মণরা ভালো সংস্কারের জন্য পরিচিত। তাদের ইচ্ছা করে সমাজে কোনঠাসা করা হয়েছে।' কোনও খারাপ উদ্দেশেই তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে তিনি মনে করছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, কারাগার থাকার সময় তাদের আচরণ অত্যন্ত ভালো ছিল। ইতিমধ্যে গোধরার বিজেপি বিধায়কের এই সাক্ষাৎকার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যার জেরে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গুজরাত সরকারের তরফে একটি কমিটি গঠন করা হয়। যাঁরা বিলকিস বানো মামলায় দোষীদের শাস্তি মুকুব করা হবে কি না, তা বিবেচনা করে দেখবেন। এই কমিটিতে যে দুজন বিজেপি নেতা ছিলেন তার মধ্যে সিকে রাউলজি অন্যতম।
আসামিদের মুক্তি গুজরাত সরকারের
২০০৮ সালে মুম্বইয়ে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। দোষী সাব্যস্তদের মধ্যে যাঁরা ১৫ বছরের বেশি জেলে কাটিয়েছেন, তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে মুক্তির আবেদন করে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে গুজরাত সরকারকে একটি কমিটি গঠন করে বিষয়টি খতিয়ে দেখায় নির্দেশ দেয়। গুজরাত সরকারের কমিটি সর্বসম্মতভাবে মুক্তির পক্ষে সওয়াল করে। গুজরাত সরকারের কাছে মুক্তির আবেদন চায়। গুজরাত সরকার আসামিদের মুক্তি দেয়।
সাতজনকে গণধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ
২০০২ সালের ৩ মার্চ দাহোদ জেলার রন্ধিকপুর গ্রামে বিলকিস বানোর পরিবারের ওপর একদল জনতা হামলা করে। সেই সময় বিলকিস বানো পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। বিলকিস বানোর পরিবারের একাধিক মহিলাকে ধর্ষণ করে। পরিবারের সাতজনকে খুন করে। এর মধ্যে বিলকিস বানোর তিন বছরের মেয়ে ছিল। পরিবারের বাকি ছয় জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বিলকিস বানো ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আসেন। সাত জন প্রমাণের অভাবে খালাস পেয়ে যান। অন্যদিকে, বিচার চলাকালীন এক জনের মৃত্যু হয়। আদালত ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।