চাহারকে নিয়ে জল্পনা
দীপক চাহারকে এশিয়া কাপের দলে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে রাখা হয়েছে। প্রথম ম্যাচে তাঁর পারফরম্যান্সে নির্বাচকরা আশ্বস্ত। বাকি দুটি ম্যাচেও চাহার যদি ছন্দে থাকেন তাহলে তাঁকে এশিয়া কাপের মূল দলে নেওয়া হতে পারে। সেই সম্ভাবনার দরজাও খোলা। চাহার যদি ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে কামব্যাক করতে পারতেন তাহলে এশিয়া কাপ ও টি ২০ বিশ্বকাপে জায়গা নিশ্চিতই হয়ে যেত। নির্বাচকরা ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, যেহেতু চাহার চোট সারিয়ে মাঠে ফিরছেন, ফলে তাঁর ফিটনেস ও পারফরম্যান্স না দেখে এশিয়া কাপের দলে রাখা ঠিক হতো না। কিন্তু এখনও ওই দলে কোনও ক্রিকেটারকে নেওয়ার সুযোগ থাকছে। যদি চাহার এশিয়া কাপে না সুযোগ পান তাহলে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টি ২০ সিরিজে তাঁকে দেখে নেওয়া হতে পারে।
নার্ভাস ছিলেন
চাহার গতকাল ম্যাচের সেরার পুরস্কার পাওয়ার পর বলেন, প্রথম কয়েকটি ওভারে বোলিংয়ের সময় পা ফেলতে সমস্যা হচ্ছিল ল্যান্ডিং এরিয়া শক্ত হওয়ায়, পা পিছলেও যাচ্ছিল। সাড়ে ছয় মাস পর আন্তর্জাতিক খেলতে নামলে এমনিতেই নার্ভাস লাগে। জিম্বাবোয়ে আসার আগে চার-পাঁচটি প্র্যাকটিস ম্যাচ খেলেছি। দেশের হয়ে সব সময় সেরাটা দিতে হয়। এদিন যখন বাইন্সার দিতে যাই তখন ল্যান্ডিং এরিয়ায় স্পাইক ঠিকভাবে না পড়ায় পিছলে যাই। তবে সামগ্রিকভাবে নিজের পারফরম্যান্সে খুশি চাহার।
প্রাথমিক সমস্যা কাটিয়ে ছন্দে
দীপক চাহার বলেন, টি ২০ বিশ্বকাপে সুযোগ পাওয়ার বিষয়টি আমার হাতে নেই। স্কিলের নিরিখে আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। শেষ ম্যাচের পর যে অবস্থায় ছিলাম, এদিন মনে হচ্ছে সেখান থেকেই শুরু করেছি। প্রথম ওভারে রান আপের একটু সমস্যা হচ্ছিল। বাকি যা বোলিং করেছি তাতে আমি খুশি। সাত ওভারের স্পেল করেছি, ফিটনেসও ঠিক জায়গাতেই রয়েছে। দীর্ঘদিন আমি মাঠের বাইরে ছিলাম। এই সময়কালে অন্যরা ভালো খেলে দলে জায়গা করে নিয়েছেন। আমাকেও জায়গা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাতে হবে। ভালো পারফরম্যান্স করলেই সেটা নিশ্চিত হবে। ফলে কোনও ক্রিকেটার যখন দলে প্রত্যাবর্তন করেন তখন একটা চাপ থাকেই। আমারও প্রত্যাশা ছিল ভালো কিছু করার। এটাই একমাত্র কোনও ক্রিকেটারের হাতে রয়েছে।
|
নজর রাখছেন নির্বাচকরা
চাহার ম্যাচের পর দর্শকদের কাছে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে হাত মেলান। ছবি তোলেন। ভারতীয় দলকে উৎসাহ দিতে বিদেশের মাটিতে যাঁরা আসেন তাঁদের প্রতি এমন সৌজন্যমূলক আচরণ প্রশংসিতও হয়েছে। আগামীকাল ও সোমবারের দুটি ম্যাচে ভালো খেলাই লক্ষ্য চাহারের। ফেব্রুয়ারিতে চোট পাওয়ার আগে টি ২০ দলে তিনি জায়গা করেছিলেন পাকাপাকিভাবে। ব্যাট হাতেও ভরসা দিচ্ছিলেন। সেই ভূমিকাতেই ফের অবতীর্ণ হতে চান। আইপিএল খেলতে পারেননি। টি ২০ বিশ্বকাপ চাহার খেলতে পারবেন কিনা তা স্পষ্ট হতে আরও কিছুটা অপেক্ষা করতেই হবে। চাহারের পারফরম্যান্সের দিকে নজর রাখছেন নির্বাচকরাও।