রাজস্ব নিয়ে কেন্দ্র রাজ্য টানা পোড়েন, দিল্লি সরকার মাদক আইন নিয়ে কেন আপত্তি, সিসোদিয়া কেন টার্গেট?

কারণ এক মাত্র মদ। মদ থেকে বিপুল আয় হয় কেন্দ্র-রাজ্য উভয়েরই। কাজেই মদ বিক্রি নিয়ে বিশেষ তৎপর দুই পক্ষই। কারণ এর শুল্কের মোটা টাকা রাজকোষের সব ঘাটতি মিটিয়ে দেয়। কেন্দ্রের সেই রোজগারেই কোপ মেরেছিল কেজরিওয়াল সরকার। রাজ্য সরকারের দোকান ছাড়া মদ বিক্রি করতে পারবে না কেউ এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। তার জেরেই এই সিবিআই রেড দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিেসাদিয়ার বাড়িতে।

সিবিআই হানা মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে

দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে জন্মাষ্টমীর দিন সকালে হানা দেয় সিবিআই। তঁার বাড়িতে এখনো তল্লাশি চালাচ্ছেন তাঁরা। হঠাৎ করে মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে সিবিআই কেন হানা দিল তা নিয়ে েতালপাড় রাজনৈতিক মহল। মণীশ সিসোদিয়া টুইট করে সিবিআইকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন সিবিআইয়ের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করবেন। দিল্লি সরকারের এক্সাইস মন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া।

কেন সিবিআই হানা

মনে করা হচ্ছে দিল্লি সরকার সম্প্রতি মদ বিক্রি নিয়ে যে নতুন নীতি ঘোষণা করেছে তার জন্যই এই সিবিআই হানা। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অনুমতি ছাড়াই মদ বিক্রি করতে পারবেন মাদক ব্যবসায়ীরা। গত বছর নভেম্বর মাসে এই এই মাদক নীতি চালু করে দিল্লি সরকার। তার পর প্রায় ৮ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে সেই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে েনয়া হয়েছে। তরপরে হঠাৎ করে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।

এর নেপথ্যে কারণ কী

দিল্লি সরকর যে মাদক নীতি চালু করেছে তার মূল উদ্দেশ্য ছিল কোষাগারে আয় বাড়ানো। অর্থাৎ মদ বিক্রির দেদার লাইসেন্স দিয়ে দিল্লি সরকার মোটা টাকা রাজস্ব আদায় করতে শুরু করেছিল। কারণ রেজিস্ট্রেশন দিতে শুরু করেছিল দিল্লি সরকার। এতে লিকার মাফিয়াদের দাপট কমেছিল। সেই সঙ্গে মদের কালোবাজারি অনেকটা বন্ধ করা গিয়েছিল। কিন্তু দিল্লি সরকরের এই নীতী পছন্দ হয়নি লেফটেন্যান্ট গভর্নরের। তাঁর মনে হয়েছিল কেজরিওয়াল সরকার ঘোড়া ডিঙিয়ে ঘাস খাওয়ার চেষ্টা করছে। সেকরণেই তাতে প্রবল আপত্তি জানান লেফটেন্যান্ট গভর্নর।

সিবিআইয়ের অভিযোগ

মণীশ সিসোদিয়ার বাড়িতে হঠাৎ করে হানা দেওয়ার মূল অভিযোগ সিবিআইয়ের যে মদ বিক্রির লাইসেন্স দেয়ার জন্য মোটা টাকা ঘুষ নেয়া হয়েছিল। মদ বিক্রির লাইসেন্স দেয়ার জন্য মদ বিক্রিতাদের কাছ থেকে মোটা টাকা ঘুষ িনয়েছে কেজরিওয়াল। তবে আম আদমি পার্টি সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সপাটে। তঁারা পাল্টা দাবি করেছে মদের কালোবাজারি রুখতেই লাইসেন্স বেশি করে দেয়া হয়েছে। এবং লাইসেন্স দেয়ার প্রক্রিয়া ভীষণভাবে স্বচ্ছ এখানে কোনো দুর্নীতি নেই।

আসামিরা সংস্কারী ব্রাহ্মণ, কেউ ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করেছিল, বিলকিস বানো মামলা প্রসঙ্গে গোধরার বিজেপি বিধায়ক আসামিরা সংস্কারী ব্রাহ্মণ, কেউ ষড়যন্ত্রের চেষ্টা করেছিল, বিলকিস বানো মামলা প্রসঙ্গে গোধরার বিজেপি বিধায়ক

More MANISH SISODIA News  

Read more about:
English summary
Why CBI raid Manish sisodia's home
Story first published: Friday, August 19, 2022, 15:51 [IST]