বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের অংশীদারিত্বে থাকা রাইস মিলে সিবিআইকে ঢুকতে বাধা। আজ শুক্রবার সকালে ওই রাইস মিলে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। কিন্তু সেখানে পৌঁছানোর পরেও ঢুকতে দেওয়া হয় না। ওই রাইস মিলের কর্মীরা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, অনুমতি নেই। প্রায় আধ ঘন্টারও বেশি সময় হয়ে যায় ওই রাইস মিলের গেটের বাইরেই দাঁড়িয়ে থাকেন সিবিআই আধিকারিকরা। যদিও প্রায় ৪০ মিনিটের বেশি সময় পরে সিবিআইকে গেট খুলে দেওয়া হয়।
কিন্তু কর্মীরা স্পষ্ট জানান, সংবাদমাধ্যম ঢুকতে পারবে না। কিন্তু? কর্মীদের বক্তব্য উপরতলার নির্দেশ। কিন্তু কে এই উপরতলা? তা স্পষ্ট ভাবে কিছু জানাননি কর্মীরা। তাহলে কি কিছু লুকাতে চাইছেন তাঁরা? সেই প্রশ্নটাই উঠতে শুরু করেছে।
অনুব্রত মন্ডলের গ্রেফতারের পর থেকেই ওই রাইস মিলের উৎপাদন বন্ধ। একের পর এক ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। তবে রাইস মিলের গোটা এলাকাতে একটা চাপা উত্তেজনা রয়েছে। কেউ আতঙ্কে মুখই খুলছেন না। কিন্তু কেন এমন রাখঢাক? তা স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে রাইস মিলের মধ্যে নিরাপত্তা রক্ষী এবং অন্যান্য কর্মীরা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্তত পাঁচ থেকে ছয়জন নিরাপত্তারক্ষী মিলের মধ্যে থাকলেও প্রথম থেকেই তাঁরা সামনে আসছিলেন না বলে খবর। বলে রাখা প্রয়োজন, এই নিয়ে দ্বিতীয়বার অনুব্রত গড়ে বাধার মুখে পড়তে হল সিবিআই আধিকারিকদের।
প্রথমে অনুব্রত মণ্ডলের মেয়েকে জেরা করতে গিতে বাঁধার মুখে পড়তে হয় তদন্তকারীদের। কার্যত খালি হাতেই তাঁরা ফেরে। এবার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। অনুব্রত মণ্ডলের নামে থাকা রাইস মিলে তদন্তে বাঁধা।
বলে রাখা প্রয়োজন, হারাধন মন্ডলের কাছ থেকে ভ্যোলে বম্ব রাইস মিল কেনেন অনুব্রত মন্ডল। ২০১১ সালের কিছু পরে এই রাইস মিল কিনে নেন তিনি। এই মুহূর্তে ৫০ শতাংশ করে অংশীদারিত্ব রয়েছজে এই মিলের। ৫০ শতাংশ মালিকানা রয়েছে ছবি মন্ডলের নামে। যিনি অনুব্রত মন্ডলের প্রয়াত স্ত্রী। আরেক ৫০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সুকন্যা মন্ডলের নামে। যিনি কেষ্টার মেয়ে বলে জানা যাচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে অনুব্রত মন্ডল ওই রাইস মিলে আসতেন বলেও জানা গিয়েছে।
বেশ কিছু নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এদিন ওই রাইস মিলে হানা দেয় সিবিআই আধিকারিকরা। একেবারে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে এই তল্লাশি অভিযান চলছিল বলে খবর। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।