সাবধানী পদক্ষেপ নিল রাজ্যের মা-মাটি-মানুষের সরকার
রাজ্যে সাতটি পুরনিগমের মেয়র ও ১২১টি পুরসভার চেয়ারম্যানদের একটা নিয়মে বাঁধতে উদ্যোগী হয়েছে তৃণমূল সরকার। দুর্নীতি ও অনিয়ম রুখতে এবার শক্ত হাতে হাল ধরতে চাইছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মোতাবেক রাজ্যের সমস্ত পুরসভার মেয়র ও চেয়ারম্যানদের হাত বেঁধে সাবধানী পদক্ষেপ নিল রাজ্যের মা-মাটি-মানুষের সরকার।
রাজ্যের তরফে মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সাবধান করা হল
সম্প্রতি অনিয়মের অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের ক্যাগের (কম্পট্রোর অ্যান্ড অডিটর জেনারেল) তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের বিভাগীয় প্রধানকে। সেই চিঠিতে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, সরকারি টাকা খরচে বকেয়া হিসেব কড়ায়-গণ্ডায় মিলিয়ে প্রয়োজনীয় নথি দ্রুত কেন্দ্র সরকারের কাছে পেশ করতে হবে। তারপরই রাজ্যের তরফে মেয়র ও চেয়ারম্যানদের সাবধান করা হল।
পুরসভার কাছে থেকে বকেয়া হিসেব চেয়ে পাঠিয়েছে নবান্ন
রাজ্যের সাতটি পুরনিগম ও ১২১টি পুরসভার কাছে থেকে বকেয়া হিসেব চেয়ে পাঠিয়েছে নবান্ন। তারা এতদিন কী খরচ করেছে, কোথায় কী লেনদেন হয়েছে- তার বিস্তারিত হিসেব চেয়ে পাঠানো হয়েছে। এই মর্মে আগামী মঙ্গলবার নবান্ন একটি জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেন। রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও পুরসচিবও উপস্থিত থাকবেন সেই বৈঠকে।
নিয়ম ভেঙে খরচের ক্ষেত্রে মেয়র ও চেয়ারম্যানদের হাতে বেড়ি
ক্যাগের চিঠি আসতেই রাজ্য তৎপর হয়ে পুরসভা ও পুরনিগমগুলিতে লেনদেনের বিষয়ে কড়া মনোভাব নিয়েছে। আর কোনওভাবেই নিজেদের খেয়াল-খুশিমতো খরচ করতে পারবেন না মেয়র ও চেয়ারম্যানরা। এবার কড়া পদক্ষেপ নিয়ে রাজ্য জানিয়ে দিয়েছে ইচ্ছামতো কর্মী নিয়োগ ও অর্থ খরচে নিষেধাজ্ঞা জারি হচ্ছে। নিয়ম ভেঙে নগদ টাকা খরচের ক্ষেত্রে মেয়র ও চেয়ারম্যানদের হাতে বেড়ি পরাতে চাইছে।
পাঁচ হাজারেরও বেশি অনিয়ম ধরা পড়েছে রাজ্যের পুরসভায়
রাজ্যের প্রত্যেকটি পুরনিগম ও পুরসভায় বছরে একবার অডিট করে এজি বেঙ্গল। সেখানেই অবৈধভাবে টাকা খরচ নিয়ে আপত্তি তোলে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা। পাঁচ হাজারেরও বেশি অনিয়ম ধরা পড়েছে। রাজ্যের ক্ষেত্রে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এই অনিম রয়ে গিয়েছে। এখন সেই সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যেই মঙ্গলবারে বৈঠক ডাকা হয়েছে।
রাজ্য সরকারকে ফের অস্বস্তিতে পড়তে হবে সমাধান না হলে
এখানে সমাধান সূত্র বের করতে না পারলে রাজ্য সরকারকে ফের অস্বস্তিতে পড়তে হবে। রাজ্যের আর্থিক সাহায্য পাওয়া আটকে যাবে। বিদেশ থেকে ঋণও মিলবে না। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, আগে যা হয়েছে, তার হিসেব দেওয়া হোক। কিন্তু নতুন করে পুরনিগমের মেয়র ও পুরসভার চেয়ারম্যানরা ইচ্ছামতো টাকা খরচ করতে পারবেন না।