অনুব্রত মন্ডলের অ্যাকাউন্টেও কার্যত কোটি টাকার হদিশ। ১৬.৯৭ কোটি টাকার এফডি বাজেয়াপ্ত করল সিবিআই। অনুব্রত মন্ডল এবং তাঁর বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের নামে রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এমনকি মেয়ে সুকন্যা মন্ডলের নামেও কোটি টাকার এফডি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
এই বিপুল পরিমাণ টাকা কীভাবে কোথা থেকে এল সেটিই এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এমনকি যাদের নামে এই এফডি রয়েছে তাদেরকে জেরা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এমনকি সুকন্যা মন্ডলকেও জেরা করা হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। যদিও আজ বুধবার অনুব্রত কন্যাকে জেরা করতে গিয়ে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে সিবাই আধিকারিকদের।
গরু পাচার-কান্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। সেই মামলাতে ইতিমধ্যে বীরভূমের বেতাজ বাদশাকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁকে দফায় দফায় জেরা করছেন তদন্তকারীরা। অন্যদিকে পাচারের টাকা কোথায় কোথায় রয়েছে সে বিষয়েও তদন্ত চালাতে থাকেন তদন্তকারীরা।
West Bengal | Central Bureau of Investigation (CBI) has seized a fixed deposit of Rs 16.97 cr belonging to TMC Birbhum District President Anubrata Mondal and his family.
— ANI (@ANI) August 17, 2022
He is in CBI custody till August 20 in a cattle smuggling case
সেই মতো অনুব্রত মন্ডলের চার্টাড অ্যাকাউন্টকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করেন সিবিআই আধিকারিকরা। এরপরেই বোলপুরে অনুব্রত মন্ডলের বাড়ির একেবারে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে থাকা একটি ব্যাঙ্কে হানা দেয় সিবিআই। সেখানকার ব্যাঙ্ক কর্মী এবং ম্যানেজারের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন তদন্তকারীরা। আর এরপরেই সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
আর এরপরেই প্রায় ১৭ কোটি টাকার এফডি বাজেয়াপ্ত করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেষ্ট ও তাঁর পরিবারের নামে এই এফডি, রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। একেবারে নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এই হানা চলে। আর তাতেই এই বিউপুল পরিমাণ টাকার খোঁজ পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই অ্যাকাউন্টগুলিকে বন্ধ এবং তার লেনদেন বন্ধের জন্য ইতিমধ্যেই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে বিপুল পরমান এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে শাসক তৃণমূল।
যদিও তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেনের দাবি, ওই টাকা ব্যাঙ্কে রয়েছে।তাঁর মতে, তদন্ত নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে ফিক্সড ডিপোজিটে টাকা থাকলে সেটার ভিত্তিতে কর দেওয়া হয়। এমনকি রিটার্ন দেখাতে হয়। আয়করকে উৎস জানাতে হয়। শুধুমাত্র তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার জন্যেই অভিযোগ বলে দাবি শান্তুনু সেনের। তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পালটা দাবি, এটা মাত্র ট্রেলার! মাগুর মাছ বিক্রেতার টাকা কীভাবে এত টাকা আসল তা নিয়েও প্রশ্ন বিজেপি নেতার।
বলে রাখা প্রয়োজন, ইতিমধ্যে অনুব্রত কন্যার নামে একাধিক সংস্থার হদিশ পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। মিলেছে একাধিক দলিল। আর এর মধ্যেই বিপুল পরিমাণ এই টাকার খোঁজ! তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।