আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ ছিল
ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। এই ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে শিক্ষা দফতর। তবে ঘটনার পরেই নড়েচড়ে বসেছে শিক্ষা দফতর। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, বিষয়টি নজরে এসেছে। খুবই দুর্ভাগ্যজনক একটি ঘটনা। তবে সুনীলকুমার দাসের নামে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ ছিল। সেই মতো তদন্তও শুরু হয়েছিল বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু ২০২১ সালে আপৎকালীন পেনশন চালু করা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
কমিটি গঠন হয়েছে
তবে ব্রাত্য জানান, সুনীলকুমার দাসকে ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে শিক্ষারত্ন দেওয়া হয়। সেই মাসেই হেয়ার স্কুলের প্রধান শিক্ষক পদ থেকে অবসর নেন সুনীলবাবু। কিন্তু শিক্ষারত্ন পাওয়ার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক বেনিয়মের অভিযোগ সামনে আসে বলে জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু। তবে কয়েকদিন আগে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে। তবে তা দেখা হয়নি বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্যে কমিটি গঠন হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
পেনশন চালু না হওয়া নিয়ে সমস্যা বেড়েছে
অন্যদিকে সুনীলকুমার দাসের মৃত্যুর পর পরিবারের দাবি, একাধিকবার বিকাশ ভবন পর্যন্ত ছুটে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। আর সেই কারণে গত কয়েকদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন বলেও দাবি পরিবারের। মৃতের স্ত্রী এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পেনশন না পাওয়াতে একটা দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিল। পেনশন ছাড়া কী ভাবে সংসার চলবে তা নিয়ে চিন্তাও করতেন। এমনকি অনেক বার বিকাশ ভবনে গিয়েছেন। স্কুলেও গিয়েছেন। আলোচনা করা হলেও পেনশন চালু না হওয়া নিয়ে সমস্যা বেড়েছে বলে দাবি মৃতের স্ত্রীয়ের।
স্তম্ভিত রাজ্যের শিক্ষামহল
ব;লে রাখা প্রয়োজন, সুনীলকুমার দাসকে শিক্ষারত্ন দেওয়া হয় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে। খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সংক্রান্ত রত্ন তুলে দেন। সেই ছবি এখনও সুনীলকুমার দাসের ঘরে উজ্জ্বল। কিন্তু সেই মানুষটাই নেই। আর এই খবরে কার্যত স্তম্ভিত রাজ্যের শিক্ষামহল।