চিনের বিদেশ মন্ত্রক কী বলছে ?
চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, শ্রীলঙ্কার পক্ষ থেকে সক্রিয় সহযোগিতায় 'ইউয়ান ওয়াং ৫' জাহাজটি হাম্বানটোডা বন্দরে "সফলভাবে বার্থিং" করেছে। ওয়াং শ্রীলঙ্কায় আর্থিক সহায়তা বেড়ে যাওয়ার পিছনে তাঁদের হাত রয়েছে এই কথা প্রত্যাখ্যান করে বলেছেন। তিনি এই কথা উড়িয়ে দিয়েছেন যে শ্রীলঙ্কার ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈদেশিক ঋণে জর্জরিত হয়ে যাওয়ার মধ্যে চিনের দেওয়া ঋণ তাদেরকে সমস্যায় ফেলেছে।
কী বলেছেন তিনি ?
তিনি বলেছিলেন যে জাহাজটি আসার পরে, শ্রীলঙ্কায় চিনা রাষ্ট্রদূত কুই জেনহং হাম্বানটোডা বন্দরে অনসাইট স্বাগত অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন, যেটি বেইজিং ২০১৭ সালে ঋণের অদলবদল হিসাবে ৯৯ বছরের লিজ নিয়েছিল।
তৃতীয় পক্ষের বাধা
স্পষ্টতই, ভারত মহাসাগরের হাম্বানটোডা বন্দরে সামরিক অ্যাপ্লিকেশনের সাথে জাহাজের বার্থিং নিয়ে ভারত ও মার্কিন উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে ওয়াং বলেন, "আমি আবার জোর দিতে চাই যে ইউয়ান ওয়াং-৫ জাহাজের সামুদ্রিক বৈজ্ঞানিক গবেষণা কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। আইন এবং আন্তর্জাতিক প্রথাগত অনুশীলন। তারা কোন দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বার্থকে প্রভাবিত করে না এবং কোন তৃতীয় পক্ষের দ্বারা বাধা দেওয়া উচিত নয়," তিনি বলেছিলেন।
চিনা বিবৃতি
প্রসঙ্গত চিনের বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল যে, চিনের গবেষণার কাজে ইউয়ান ওয়াং ৫ জাহাজটি ব্যবহার করা হচ্ছে। মূলত মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে ব্যবহার কর হয়েছে। জ্বালানি ভরতে ইউয়ান ওয়াং ৫ জাহাজটি শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে পৌঁছেছে। জাহাজটিকে স্বাগত জানাতে চিনের রাষ্ট্রদূত তিউ জেনহং, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের প্রতিনিধি ও প্রশাসনের বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন। বন্দরে পৌঁছনোর পর জ্বালানি ভরতে, খাদ্যসামগ্রী ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সংগ্রহ করতে জাহাজটির বেশ কিছুটা সময় লাগবে। এরপরেই বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্রের তরফে জানানো হয়, আন্তর্জাতিক আইন মেনে চিন এই গবেষণার কাজটি করছে। এখানে তৃতীয় পক্ষের নাক গলানোর কোনও প্রয়োজন নেই। ভারত শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে ইউয়ান ওয়াং ৫ জাহাজের প্রবেশের তীব্র বিরোধিতা করেছিল। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, মহাকাশ গবেষণার নামে জাহাজগুলোতে উচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। এতটাই উন্নত প্রযুক্তি যে হাম্বানোটোটা বন্দর থেকে ভারতের একাধিক সামরিক গতিবিধির ওপর নজর রাখতে পারবে জাহাজটি। যেমন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা ভারত করলে, তাকে শুধু ট্র্যাক করতে পারবে না চিনা জাহাজটি, পাশাপাশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কতটা শক্তিশালী সেই বিষয়েও ধারণা করতে পারবে।