বিহারে লক্ষ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি নীতীশের
আরজেডির সমর্থনে বিহারে ফের ক্ষমতায় বসেই নীতীশ কুমার আগামী দিনে রাজ্যে ১০ লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। পাশাপাশি রাজ্যে ২০ লক্ষ নতুন কর্মসংস্থানের লক্ষে সরকার কাজ করবে বলে জানিয়েছিলেন।
কর্মসংস্থান নিয়ে তিনি আরজেডির প্রতিশ্রুতি পালনেরও ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। বিহারের যুবকদের স্বার্থে কর্মসংস্থান তৈরি বর্তমান সরকারের লক্ষ্য বলে ইঙ্গিত করেছিলেন জেডিইউ সুপ্রিমো। তিনি আরও বলেছিলেন দেশের তরুণ প্রজন্মের সামনে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি তাঁর সরকারেরপ্রধান লক্ষ্য বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
কোথা থেকে অত চাকরি দেবেন
নীতীশ কুমারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেছেন, যদি মহাজোট সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ৫-১০ লক্ষ লোক চাকরি পায়, তাহলে তাঁকে পিছিয়ে পড়াদের নেতা হিসেবে মেনে নেবেন। কিন্তু না হলে তাঁকে সোজা করে দেবে সাধারণ জনগণ। তাঁর প্রশ্ন এত চাকরি হবে কোথা থেকে। যাঁরা চাকরি করছেন, তাঁরাই বেতন পাননি মাসের পর মাস।
পরের নির্বাচনের মধ্যে সব কিছু বদলে যাবে
প্রশান্ত কিশোর বলেছেন, যদি নীতীশ কুমার চাকরি দিতে পারেন, তাহলে তাদের চেয়ে বেশি খুশি আর কেউ হবে না। তিনি আরও বলেছেন তারা মাত্র ৩ মাস এসেছেন। সব কিছু ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গিয়েছে। আরও ঘুরবে, ঘুরতে দিন বলেছেন প্রশান্ত কিশোর। পরের নির্বাচন আসতে আসতে সব কিছুর আবার পরিবর্তন হবে বলেও মন্তব্য করেছেন প্রশান্ত কিশোর।
তিনি বলেছেন, গত নির্বাচনে এদের জনগণ সমর্থন করেনি। আগের এনডিএ সরকার ভাল কাজ করেছিল, তাই জনগণ তাদেরকে ভোট দিয়েছিল। তিনি বলেছেন, জনগণ কাউকে ভোট দেয়, অন্য কেউ সরকার বানায় আর জনগণকে বোকা বানায়। প্রশান্ত কিশোর কটাক্ষ করে বলেছেন, ফেভিকল লাগিয়ে নীতীশ কুমার চেয়ারে বসেছেন।
বাংলায়ও একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা
প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০২১-এর নির্বাচনের আগেও বাংলায় লক্ষ লক্ষ চাকরি আর কর্মস্থানের সুযোগ তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় এই প্রশান্ত কিশোরই ছিলেন তৃণমূলের ভোট কুশলী। বর্তমানেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, বাংলায় বেকার সংখ্যা ৪০ শতাংশ কমে গিয়েছে, সেখানে সারা ভারতে বেকার বাড়ছে।
নীতীশকে নিয়ে অবিশ্বাস আরজেডি সমর্থকদের
শুধু প্রশান্ত কিশোরই নন, নীতীশ কুমারকে নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন রয়েছে আরজেডি সমর্থকদের মনেও। কেউ বলছেন, যদি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বছরে ২ কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি জুমলা হয়, তাহলে নীতীশ কুমারই বা পিছিয়ে থাকবেন কেন? আবার সাধারণের একটি অন্য অংশ বলছেন, আরজেডি এবং জেডিইউ একসঙ্গে নির্বাচনে গেলেও ২০২০-র নির্বাচনের বিজেপির মতো আরজেডির একটা বড় অংশ নীতীশ কুমারকে ভোট দেবেন না।