তুচ্ছ মামলার ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ব্যয় আরোপ
দেশের ৪৯ তম প্রধান বিচারপতি হিসেহবে ইউ উমেশ ললিত ২৭ অগস্ট শপথ নেবেন। তার আগে তিনি বলেন, 'তুচ্ছ মামলার কারণে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলায় রায় দানে বাধা পড়ে। আমাদের এমন একটা ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে তুচ্ছ মামলাগুলোর কারণে আদালতের সময় নষ্ট না হয়। সেক্ষেত্রে তুচ্ছ মামলাগুলোর ক্ষেত্রে ব্যয় চাপাতে হবে। যার ফলে তুচ্ছ মামল সুপ্রিম কোর্টে আসা বন্ধ হবে। বিচার ব্যবস্থা কিছুটা সুগম হবে।' পাশপাশি তিনি বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের প্রাথমিক কাজ হল আইন প্রণয়ন করা এবং জটিল সাংবিধানিক বিষয়গুলোর ওপর সিদ্ধান্ত নেওয়া। কিন্তু তুচ্ছ অনেক মামলার কারণে তা বাধাগ্রস্থ হয়।'
সুপ্রিম কোর্টে পাঁচ বিচারপতির স্থায়ী বেঞ্চ
বিচারপতি ইউ উমেশ ললিত বলেন, 'যখন সুপ্রিম কোর্টে সাত আট জন বিচারপতি ছিলেন, আদালত পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গঠন করতে পারত। কিন্তু এখন সুপ্রিম কোর্টে ৩৪ জন বিচারপতি রয়েছে। তবে এখন কেন পাঁচ বিচারপতির স্থায়ী বেঞ্চ গঠন করা সম্ভব নয়। বর্তমান পরিস্থিতি ও সুপ্রিম কোর্টের অবস্থানের ভিত্তিতে পাঁচ বিচারপতির স্থায়ী বেঞ্চের প্রয়োজন। অতীতের দিকে তাকালে দেখা যাবে, বিচারপতি ভি কৃষ্ণ আইয়ার তাঁর সাত বছরের মেয়াদে ৫৫টি সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিচারপতি পিএন ভগবতী ১১৩টি সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আমার মনে হয়েছে, সুপ্রিমকোর্টে আমরা পাঁচ বিচারপতির স্থায়ী বেঞ্চ তৈরি করতে পারি।'
করোনা মহামারীর জেরে ক্ষতিগ্রস্ত বিচার ব্যবস্থা
করোনা মহামারীর জেরে বিচার ব্যবস্থা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট, হাইকোর্ট, জেলা আদালতগুলোতে মামলার মুলতুবির সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গিয়েছে। যা ইতিমধ্যে চার কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে বিচরপতি ললিত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, যার মধ্যে অনেক মামলা রয়েছে, যা গত পাঁচ থেকে ২০ বছর ধরে অমীংমাংসিত অবস্থা রয়েছে। দ্রুত রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে বা বিচার প্রদানের ক্ষেত্রে যেগুলো মূল বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে, সেগুলো অপসারণ করতে হবে।