একটা জঘন্য অপরাধ ছিল
বলে রাখা প্রয়োজন, বিলকিস বানো গণধর্ষণ এবং একই পরিবারের ৭ জনকে খুনের ঘটনায় ১১ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে মুক্তি দিল গুজরাট সরকার। ২০০২ সালের ঘটনা। গোধরা উপসংশোধনাগারে বন্দি ছিল তারা। তাঁদের সাজা মকুব করে মুক্তি দেয় গুজরাত সরকার। আর এই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই মোদী সরকারকে তোপ AIMIM সুপ্রিমো'র। তাঁর দাবি, বিলকিসকে ধর্ষণ করা হয়, সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। একটা জঘন্য অপরাধ ছিল, কিন্তু অপরাধীদেরত মুক্তি দিয়ে দেওয়া হল বলে কটাক্ষ। আসাদের প্রশ্ন, আমরা দেশকে কি বার্তা দিচ্ছি? এর থেকে বড় নোংরা রাজনীতি আর কি হতে পারে বলেও কটাক্ষ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি'র।
বিজেপির এই নীতি আর কতদিন চলবে?
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়েইসি বলছেন, যে মহিলা বছরের পর বছর লড়াই করেছেন, স্বামী তার স্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন, সেই পরিবারের আরও চার মহিলাকে ধর্ষণের পর কী বার্তা দেওয়া হচ্ছে? বিজেপিও বা কি বার্তা দিতে চাইছে বলেও প্রশ্ন সাংসদের। অইমহিলা বোরখা পড়ে রয়েছেন বলে সব মিথ্যা কথা বলছেন? সে প্রশ্নও ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি। আসাদের মতে, গুজরাত নির্বাচন সামনেই আসতে চলেছে। আ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতেই এই সমস্ত কিছু করা হচ্ছে বলেও তোপ AIMIM সুপ্রিমো'র। তবে এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবশ্যই মুখ খুলতে হবে বলে আওয়াজ তুলেছেন তিনি। আসাদের আরও প্রশ্ন, বিজেপির এই নীতি আর কতদিন চলবে?
এক নজরে গোটা ঘটনা
বলে রাখা প্রয়োজন, ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি মুম্বইয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতে তাঁদের সাজা ঘোষণা করা হয়েছিল। বিলকিস বানোকে গণধর্ষণ এবং তাঁর পরিবারের সাত সদস্যকে খুনের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত ছিল তারা। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তারা। বম্বে হাইকোর্ট তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা বহাল রাখে। ইতিমধ্যেই ১৫ বছর জেল খেটে ফেলেছেন তাঁরা। তারপরেই এক বন্দি সুপ্রিম কোর্টে সাজা মকুবের আবেদন জানায়। শীর্ষ আদালত গুজরাত সরকারকে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে বলে। একটি কমিটি গঠন করে বিষয়টি বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নেয় গুজরাত সরকার। তারপরেই সেই ১১ জনের সাজা মকুব করে মুক্তির কথা ঘোষণা করে সেই কমিটি।