টাস্কফোর্সের সুপারিশ কার্যকর
বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের চিকিৎসায় বাধার অভিযোগ এলেও, অনেক মানুষ এই কার্ডের মাধ্যমে বেসরকারি হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী বহু রোদের চিকিৎসা হয় এই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে। আরও কী সুবিধা সাধারণ মানুষকে দেওয়া যায়, তা নিয়ে স্বাস্থ্যসাথীর টাস্কফোর্সকে উদ্যোগ নিতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আলোচনায় বসে টাস্কফোর্স। সেখানেই ঠিক হয়,
এবার থেকে ক্যানসার-সহ ব্যথা উপশমকারী চিকিৎসার সুযোগ মিলবে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের মাধ্যমে।
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে সামাজিক উপহার
মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে রাজ্যবাসীকে সামাজিক উপহার দিলেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। রাজ্য সরকারের বর্তমান সিদ্ধান্ত আরও ৭০ টি রোগের চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যাবে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের মাধ্যমে। স্বাস্থ্যদফতরের শীর্ষ কর্তাদের দাবি, দেশের কোনও রাজ্যে এই ধরনের সুবিধা নেই। কোনও রাজ্য সরকারই বিনা পয়সায় সাধারণ মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা করে উছতে পারেনি। সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের উদ্যোগ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
বাড়তি যেসব রোগের চিকিৎসার সুবিধা
স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে এখন থেকে যেসব রোগের চিকিৎসার সুবিধা পাওয়া যাবে তার মধ্যে রয়েছে, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি, অ্যাবোলেশন, ইউএসজি গাইডেড পেরিফেরাল নার্ভ ব্লক-সহ বেশ কিছু রোগের চিকিৎসা। ব্যথার রকমভেদে ৮ থেকে ৬৫ হাজার টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার সুবিধা থাকছে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের মাধ্যমে। রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তে ক্যানসার আক্রান্তরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গরিব ও মধ্যবিত্তের উপকার
মূলত রাজ্যের গরিব এবং মধ্যবিত্তের দিকে তালিকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে এর সুবিধা এখন রাজ্যের সবার জন্য করা হয়েছে। ক্যানসার কিংবা ব্যাথার নিরসনে গরিব ও মধ্যবিত্তকে অনেক টাকা খরচ করতে হয়। এবার সেই শ্রেণির মানুষদের দিকে তাকিয়ে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের অধীনে তা আনা হয়েছে। ব্যথার চিকিৎসা করাতে গিয়ে যাঁদের ক্যানসার নির্ণয় হবে, তাঁরা এবার স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে চিকিৎসা করাতে পারবেন।