জিএসটির নয়া তালিকা প্রস্তুত
একটি রিপোর্ট অনুসারে জিএসটি সংশোধন এখনও শেষ হয়নি। জিএসটি সংশোধনের কাজ এখনও বেশ খানিকটা বাকি রয়েছে। জিএসটি সংক্রান্ত শেষ দুই-তিনটি বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। সেখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টেক্সটাইল পণ্য সহ বেশ কয়েকটি পণ্যের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া এখনও বাকি রয়েছে। জিওএম পরবর্তী তালিকা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। পরবর্তী কাউন্সিলের সভার আগে একটি প্রস্তাব আনার সম্ভাবন রয়েছে। অটোমোবাইল, ইলেকট্রনিক দ্রব্য ও সারের জিএসটি পরিবর্তিত হতে পারে বলে একটি রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে।
ক্যাসিনো, অনলাইন গেম নিয়ে জিএসটির সিদ্ধান্ত অনিশ্চিত
জুন মাসের শেষের দিকে জিএসটি কাউন্সিলের ৪৭ তম বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছিল। সেখানে দই, লস্যি, বাটারমিল্ক সহ প্যাকেটজাত দ্রব্যগুলিকে জিএসটি আওতায় নিয়ে আসা হয়। এছাড়াও স্বাস্থ্য পরিষেবা ও খাদ্যপণ্যের কিছু ক্ষেত্রে জিএসটির পরিবর্তন করা হয়। বেশ কিছু পণ্যকে নতুন করে জিএসটির আওতায় নিয়ে আসা হয়। আবার কিছু কিছু পণ্যের জিএসটি বাড়ানো হয়। সেই সময় বেশ কিছু পণ্য ও পরিষেবার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। ক্যাসিনো, অনলাইন গেম, ঘোড়াদৌড়ের মতো সমস্যাগুলোকে পুনরায় পর্যবেক্ষণ করার বিষয়ে জিওএমকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এই বিষয়ে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য জিওমকে সময় দেওয়া হয়। নয়া প্রতিবেদনে ২৮ শতাংশ কর প্রয়োগের প্রস্তাবের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।
স্বাস্থ্য পরিষেবায় জিএসটির বড় সিদ্ধান্ত
স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে জিএসটির বেশ কিছু পরিবর্তন করা হয়। আইসিই রুম ভাড়া ৫০০০ টাকা বা তার বেশির ক্ষেত্রে জিএসটি প্রয়োগ করা হয়েছে। ৫ শতাংশ জিএসটি প্রয়োগ করা হয়েছে। অর্থোপেডিক যন্ত্রপাতির ওপর জিএসটি ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশে নিয়ে আসা হয়েছে। এর আওতায় শরীরের কৃত্রিম অঙ্গ রয়েছে। যা শরীরে ক্ষতিপূরণ করতে বাইরে থেকে লাগানো হয়। এছাড়া ইন্ট্রাওকুলার লেন্সের ক্ষেত্রেও জিএসটি কমানো হয়েছে। অন্যদিকে, ইবর্জ্যের ওপর জিএসটি ৫ শতাংশ বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে।