যুবকের প্রাণ রক্ষার জন্য লিওনেল মেসির কাছে স্মরণাপন্ন হল এক সৌদি পরিবারের। সারা বিশ্বের মতোই সৌদি আরবে মেসির গ্রহণযোগ্যতা অন্য স্তরে। গোটা বিশ্বের মতোই মেসির জন্য পাগল সৌদির ফুটবলপ্রেমীরাও। তবে, সৌদির সঙ্গে অন্য আর এক সম্পর্ক রয়েছে লিওনেল মেসির। বিশ্ব ফুটবলের ইতিহাসে সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় বর্তমানে সৌদি আরবের পর্যটনদূত। তাই তাঁর কাছে সন্তানের প্রাণরক্ষার আবেদন জানিয়ে চিঠি পাঠাল এক হতভাগ্য পরিবার।
দেশের সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার অভিযোগে মহম্মদ আল ফারাজ নামে এক যুবককে গ্রেফতার ২০১৭ সালে এক কিশোরকে গ্রেফতার করে সৌদি পুলিশ। ফারাজের পরিবারের দাবি, ২০১৭ সালে বন্ধুদের সঙ্গে খেলার সময় তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরবর্তীতে কঠিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং নির্যাতন করা হয় তাঁকে। ফারাজকে যখন গ্রেফতার করা হয় তখন তাঁর বয়স ছিল ১৫ বছর। এখন সে ২০ বছরের যুবক। দীর্ঘ পাঁচ বছর কারাগারেই বন্দি ফারাজ, বর্তমানে তাঁর মামলা চলছে আদালতে। এখনও আদালত এই মামলার কোনও রায় না দিলেও বাদী পক্ষ সম্ভাব্য সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেছে। এমনটাই উল্লেখ রয়েছে মেসিকে পাঠানো সেই চিঠিতে।
ওই চিঠি আরও লেখা হয়েছে, "বিনয়ের সঙ্গে আমরা আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ফারাজকে শিশু অবস্থায় আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। সৌদি আরবের পর্যটনদূত হিসেবে আপনার অনেক প্রভাব আছে। আপনি কি সেটি একজন কিশোরের জীবন বাঁচাতে ব্যবহার করবেন? কারাগারের রক্ষীরা তাকে (ফারাজ) পিটিয়েছে, লাথি মেরেছে। মাঝে হাতের ওপর শিকল বেঁধে কয়েক ঘণ্টা রাখা হয়েছে। একজন শিশুর সঙ্গে কেউ এমন নির্দয় ও নিষ্ঠুর আচরণ কীভাবে করতে পারে।"
মেসিকে টুরিজমের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত করে নিজেদের ইমেজকে স্বচ্ছ রাখার সৌদি আরবের চেষ্টা হয়তো তাদেরই সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে চলেছে। এই বছরই আবদুল্লা আল হোয়াইতির থেকে লুইস হ্যামিলটন চিঠি পাওয়ার পর এর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন। ১৫ বছর বয়সে গ্রেফতার হওয়া আবদুল্লাকে মৃত্যুর পরয়ানা ধরিয়ে দেওয়া হয় ১৭ বছর বয়সে।