রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্যে স্বাধীনতা সংগ্রামের পাঁচটি আন্দোলন, প্রশস্ত করে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তির পথ

ভারত চলতি বছর ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস পালন করতে চলেছে। প্রায় ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর ভারতে স্বাধীনতার সূর্য ওঠে। ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের রাস্তাটা মোটে এই স্বাধীনতার জন্য অসংখ্য বীর যোদ্ধার আত্মত্যাগ রয়েছে। আন্দোলন, রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্যে ভারত স্বাধীনতা পেয়েছে। ভারত ৭৬ তম স্বাধীনতা দিবস পালনের জন্য সেজে উঠেছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের লড়াইয়ের বেশ কয়েকটি ঘটনা ঔপনিবেশিক শাসন থেকে ভারতকে মুক্ত করতে সাহায্য করেছে। তারমধ্যে বেশ কয়েকটি আন্দোলনকে মহাত্মা গান্ধী নেতৃ্ত্ব দিয়েছিলেন। ভারতের স্বাধীনতার লড়াইয়ে পাঁচটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা,

ভারত ছাড়ো আন্দোলন

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ভারত ছাড়ো আন্দোলন হয়েছিল। সেই সময় স্বাধীনতা সংগ্রামীরা ব্রিটিশ শাসনের সম্পূর্ণ অবসানের দাবি করেছিলেন। এটি অগস্ট ক্রান্তি আন্দোলন নামেও পরিচিত। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় মহাত্মা গান্ধী বোম্বের (বর্তমানে মুম্বই) গোয়ালিয়া ট্যাঙ্ক ময়দানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেছিলেন, 'এই মুহূর্তে শুধু একটা কথাই মনে রাখতে হবে। প্রতি নিঃশ্বাসে একটা কথাই মনে করতে হবে। কর অথবা মরো।' মহাত্মা গান্ধীর এটি অন্যতম বিখ্যাত উক্তি 'ডু অর ডাই'।

অসহযোগ আন্দোলন

১৯১৯ সালে রাওলাট আইন ও জালিয়ানওয়ালাবাগের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর মহাত্মাগান্ধী অসহযোগের আন্দোলনের প্রচার শুরু করেন। প্রায় সারা ভারত জুড়ে অসহযোগ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে থাকেন মহাত্মা গান্ধী। ১৯২০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর তিনি অসহযোগ আন্দোলন শুরু করেন। সেই সময় দেশের একাংশ ব্রিটিশ শাসকের সঙ্গে অসহযোগিতা শুরু করেন।

আইন অমান্য আন্দোলন

মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে ১৯৩০ সালের ১২ মার্চ আইন অমান্য আন্দোলন শুরু হয়। মহাত্মা গান্ধী আহমেদাবাদের সবরমতি আশ্রম থেকে গুজরাতের নভসারি জেলার ডান্ডি সমুদ্র সৈকত পর্যন্ত হেঁটে যান। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ৭৮ জন স্বাধীনতা সংগ্রামী। ব্রিটিশ সরকার লবনের ওপর যে কর বসিয়েছিল, তা অমান্য করাই লক্ষ্য ছিল এই আন্দোলনের। এরপর সারা ভারতের বিভিন্ন জায়গায় আইন অমান্য আন্দোলনের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ব্রিটিশ শাসনে নির্যাতিত দেশের মানুষ নিজের মতো করে এই আন্দোলন শুরু করেছিলেন।

স্বদেশী আন্দোলন

১৯০৫ সালের ৭ অগস্ট কলকাতার টাউন হল থেকে স্বদেশী আন্দোলন শুরু হয়। এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল বিদেশি পণ্য বর্জন ও স্বদেশী পণ্য গ্রহণ। সেই সময় পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি সারা ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বিদেশি পণ্যের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন। অনেক জায়গায় বিদেশি পণ্য পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এই আন্দোলনকে উৎসাহ দিয়েধনী ভারতীয়রা খাদির জন্য জমি ও অর্থ দান করেছিল। দেশের ঘরে ঘরে বস্ত্র উৎপাদন শুরু হয়েছিল।

পূর্ণ স্বরাজ প্রস্তাব

১৯২৯ সালের লাহোর অধিবেশনে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের অধিবেশনে পূর্ণ স্বরাজ প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। লর্ড আরইউন ও ভারতের প্রতিনিধিদের মধ্যে একটি আলোচনা ব্যর্থ হওয়ার পরে জাতীয় কংগ্রেসের তরফে এই প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হয়। ওই আলোচনায় ব্রিটিশরা ভারতকে আধিপত্যের অধিকার দিতে চেয়েছিলেন। সেই সময় ভারতের প্রতিনিধি দলের জহরলাল নেহরু, মহাত্মা গান্ধী, মহম্মদ আলি জিন্নাহ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা ভারতের পূর্ণ স্বাধীনতা দাবি করেছিলেন। এরপরেই কংগ্রেস ১৯৩০ সালের ২৬ জানুয়ারি প্রথম স্বাধীনতা দিবস হিসেবে বেছে নেওয়া হয়। এই প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর জহরলাল নেহরু ১৯২৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর লাহোরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট জন্ম হয় অভিনেত্রী রাখীর, জানুন সেই অজানা গল্প১৯৪৭ সালের ১৫ অগাস্ট জন্ম হয় অভিনেত্রী রাখীর, জানুন সেই অজানা গল্প

More INDEPENDENCE DAY News  

Read more about:
English summary
Some freedom movement which led to Independent India